আজ ৭১ বছরে পা রাখলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিটিভির আলোচিত ও দর্শক সাড়া জাগানো ধারাবাহিক নাটক সকাল-সন্ধ্যার শাহেদ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

বিটিভির আলোচিত ও দর্শক সাড়া জাগানো ধারাবাহিক নাটক সকাল-সন্ধ্যার শাহেদ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আশির দশকের আরও বহু টেলিভিশন নাটকে ছিল তার সরব উপস্থিতি।

গুণী এই অভিনেতা টিভি নাটক, মঞ্চ নাটক, সিনেমা ও বেতারে অভিনয় করে তার শিল্পী জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। সেই সঙ্গে সমৃদ্ধ করেছেন অভিনয় জগতকেও।

একজন আবৃত্তিকার হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে।

আজ তার জন্মদিন। জীবনের ৭০ বছর পার করে আজ ৭১ বছরে পা রাখলেন তিনি।

মোরশেদুল ইসলামের আগামী সিনেমা দিয়ে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। সেই থেকে আজও সিনেমায় অভিনয় করে যাচ্ছেন গুণী এই অভিনয় শিল্পী।

তার অভিনীত কীর্তনখোলা সিনেমায় ইদু কনট্রাকটরের চরিত্রটি দাগ কেটেছে সবাইকে। গেরিলা সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন। একাত্তরের যীশু সিনেমায় একজন পাদ্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনই বেশকিছু সিনেমায় প্রশংসিত অভিনয় করে তার অভিনয় ক্যারিয়ারকে আরও সুন্দর করে তুলেছেন।

এছাড়া আধিয়ার, আমার আছে জল, আমার বন্ধু রাশেদ, মেঘলা আকাশ সিনেমায় অভিনয় দিয়ে দর্শক মন জয় করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঞ্চ নাটকে তার অবদান অনেক। দেশের নামি মঞ্চ নাটকের দল- ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম একজন ব্যক্তিত্ব তিনি। এই নাট্যদলের হয়ে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন এক সময়।

ঢাকা থিয়েটারের হয়ে তার করা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- কীর্তনখোলা, প্রাচ্য, বনপাংশুল, শকুন্তলা, বাসন ইত্যাদি।

পলাশী থেকে ধানমন্ডি চলচ্চিত্রটি তার অভিনয় জীবনের আরও একটি সেরা কাজ।

তিনি একাধারে একজন লেখকও। পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এছাড়াও বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাসের বই রয়েছে তার।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন তিনি। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন তিনি কাজ করেছেন।

এছাড়াও ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক এবং বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে।

জন্মদিন নিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জীবন অনেক সুন্দর। জীবন ভীষণ সুন্দর। জীবন থেকে এতগুলো বছর কেটে গেল টেরই পেলাম না। কাজের সঙ্গে ছিলাম বলেই হয়ত এমনটি মনে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবনে কত কি দেখেছি, কত সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৭৫ এ ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। জন্মদিন এলেই মানুষের ভালোবাসার কথা মনে পড়ে বেশি বেশি।’

নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টানা ১০ দিন হাসপাতালে ছিলাম। টায়ার্ডনেস ছিল। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। একদিন আগেই বাসায় ফিরেছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে আরও অনেকদিন বাঁচতে চাই।’

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।’

Comments

The Daily Star  | English

‘Selling child for treatment tragic violation of rights’

NHRC takes suo motu cognizance of TDS report, vows to ensure rights of the family, asks Dinajpur DC to probe and submit report by Oct 15

27m ago