স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল দেওয়ার দাবি টিআইবির
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এই সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অনুদানভিত্তিক তহবিল প্রদানের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান কোভিড-১৯ সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নামে শিল্পোন্নত দেশগুলোর উদ্যোগে গ্রিন রিকভারির প্রস্তাব করা হলেও প্রধান কার্বন-নিঃসরণকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে উল্টো অবস্থান গ্রহণ করায় বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে সামান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলন, 'কোভিড-১৯ উদ্ভূত সংকটের পাশাপাশি উপর্যুপরি বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অভিযোজন এবং প্রশমন বাবদ প্রাপ্য অনুদান প্রদানে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পথ নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশের ও প্রতিশ্রুত প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিবর্তে উল্টো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহারে অগ্রাধিকার প্রদানের মতো প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম গ্রহণ থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।'
চলমান অতিমারির সুযোগ নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা না হলে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে করে টিআইবি। তাই শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর প্যারিস অঙ্গীকার মেনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমনে অনতিবিলম্বে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
Comments