দুই দিনের রেকর্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ পঞ্চগড় পৌর এলাকা

দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণে পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অফিস-আদালত ও হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অফিস-আদালত ও হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে যা এ বছরে সর্বোচ্চ বলে জানান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, 'তেঁতুলিয়ায় বুধবার ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৭ দশমিক সাত মিলিমিটার এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১১০ দশমিক ৭ মিলিমিটার।'

বুধবার বিকেলে ও বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল, সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম, এনএসআই কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের দেয়াল বেয়ে পানি ঢুকে ১৬৯ বস্তা চাল ভিজে গেছে।



জলাবদ্ধতার জন্য পঞ্চগড় পৌরসভার অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

শহরের ইসলামবাগ, কায়েতপাড়া, রামেরডাঙ্গা, রাজনগর, খালপাড়াসহ নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটু পানি জমেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য দ্রুত পানি বেরিয়ে যেতে না পারায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল আলম বলেন, 'পঞ্চগড় পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে আজকে আমাদের এই দুরবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পথঘাট ডুবে যায়। ময়লা পানির উপর দিয়ে হাঁটতে হয়। পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও সুরাহা হয়নি।'

পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, 'খাদ্য গুদামের পাশ দিয়ে যাওয়া ড্রেনটিতে ঠিকমত পানি যেতে না পারায় অতিরিক্ত পানি জমে খাদ্য গুদামের দেয়াল চুয়ে পানি ভেতরে ঢুকে ১৬৯ বস্তা চাল ভিজে গেছে।'

যোগাযোগ করা হলে পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপরিকল্পিত নয়। অতি বৃষ্টি আর ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'শহর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বালি-পাথর পরিবহন করা হয়। এসব বালি-পাথর ধুয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ায়, পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেই জলাবদ্ধতা।'

এ ছাড়া, মানুষ ড্রেনে নানা ধরণের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণেও পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে আশা করছেন, বৃষ্টি বন্ধ হলে একদিনেই সব পানি নেমে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago