এই ‘জিরো টলারেন্স’ বক্তব্যে দুর্নীতি কমবে?
উচ্চপদস্থ কারো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া একজন নিম্নপদস্থ কখনোই দুর্নীতি করতে পারবে না। দুর্নীতি হচ্ছে, নিম্নপদস্থ একজনকে হয়তো ধরা হচ্ছে, তাকে নিয়ে আমরা তর্ক-বিতর্ক বা আলোচনা করছি। কিন্তু, উচ্চপদস্থরাই থেকে যাচ্ছেন জবাবদিহিতার বাইরে। মামলা হলেও সেখানে উচ্চপদস্থদের বাদ দিয়ে নিম্নপদস্থের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। ফলে, এক বা একাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা চলে গেলেও তৈরি হচ্ছে আরও অনেকজন। যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি, তারা জবাবদিহি বা বিচারের আওতায় না আসায় এই ধারাবাহিকতাটা চলমান।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘আমাদের দেশে সব সময় যারা উচ্চ পর্যায়ে থাকে, যাদের আমরা এলিট বলি, বিত্ত ও প্রভাব-প্রতিপত্তি তাদের হাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। গরিব মানুষের নামে আমরা ক্ষমতায় যাই। কিন্তু, ক্ষমতায় গিয়ে আমরা প্রথমে নিজেদের গরিবি হঠাই। প্রত্যেকেই দেখা যায় ক্ষমতায় গিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।’
দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে কথা বলা হয়, বাস্তবে তার কার্যকারিতা দেখা যায় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স, সেটা আমাদের দেশে কখনো ছিল না এবং কখনো হবেও না বলে মন্তব্য করলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাদী সমাজে জিরো টলারেন্স কখনো কাজ করে না। রাষ্ট্র, সরকার, সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন, এর সহায়ক শক্তি গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান— সব জায়গায় যদি সততা থাকে, তাহলে জিরো টলারেন্স নীতি কাজ করে। কিন্তু, এসব জায়গায় যদি আমাদের অসততা থাকে, তাহলে দুর্নীতি বাধা দেওয়াটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।’
‘এ জন্য পৃথিবীতে যে কথাটা চলে, দুর্নীতি সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসা। অর্থাৎ গরিবের যেন কষ্ট না হয়। সব দেশেই কমবেশি দুর্নীতি হয়। কিন্তু, সেখানে এর এত বড় স্পর্শ সাধারণ মানুষের গায়ে লাগে না। অনেক দেশেই এমন স্বচ্ছতা রয়েছে যে দুর্নীতি শুধু সহনীয় না, একেবারে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে তাদের রুচি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির সমন্বিত প্রভাব। আমাদের দেশে এর প্রভাব আমি কোনোদিন দেখিনি। এখানে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যান বা জনপ্রতিনিধি হন, তাদের দুর্নীতির কোনো পরীক্ষা নেওয়া হয় না। ফলে জনগণের মনে হতাশা তৈরি হয় যে, কোনোদিনই কিছু হবে না’, বলেন এই শিক্ষাবিদ।
দুর্নীতির ক্ষেত্রে যারা প্রকৃত পৃষ্ঠপোষক, তাদের ধরা বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। যে কারণে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের বিষয়ে জনমনে আস্থা নেই, উল্লেখ করে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচিত বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, চুনোপুঁটিরা ধরা পড়েন। অথচ তাদের পৃষ্ঠপোষকরা জবাবদিহির আওতায় আসেন না। কিংবা যখন চুনোপুঁটিদের ধরা হয়, তখনও দেখা যায়, ইতোমধ্যে তারা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক। অথচ দীর্ঘ সময় ধরেই তো তারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তখন কি কেউ কিছুই টের পায়নি? ধরা পড়লে সাময়িক বরখাস্ত। আগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না।’
যেভাবে দুর্নীতি হ্রাস করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা দুর্নীতি হ্রাসে মোটেই সহায়ক নয় বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানও। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে যে কিছু দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে, শুধু এসব ক্ষেত্রেই নয়, বাংলাদেশেই কখনোই রাঘব-বোয়ালদের বিচারের আওতায় আনা বা জবাবদিহি নিশ্চিত করা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। ফাইন্যান্সিয়াল, ব্যাংকিং কিংবা ক্রয় খাতের আলোচিত বড় বড় ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই রাঘব-বোয়াল বা সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের ধরা-ছোঁয়া বা জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে দেখা গেছে। যে কারণে বেড়েছে দুর্নীতির ব্যাপকতা।’
‘যারা নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও বীভৎসভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন, নিঃসন্দেহে তাদেরকেও জবাবদিহির বা বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু, শুধু সেটি করা কখনোই যথেষ্ট নয়। আর চুনোপুঁটিদের ক্ষেত্রেও যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে, এমন নজির খুব কম’, বলেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, পুরো দুর্নীতির বিষয়টিতে একটি সিন্ডিকেটের একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ এই যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেক, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল, জেকেজির ডা. সাবরিনা বা রিজেন্টের সাহেদের মতো আলোচিত যে ঘটনাগুলো, এগুলোর পেছনে সরকারি প্রতিষ্ঠান বা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একাংশের সহায়তা রয়েছে। তাদের যোগসাজশেই ঘটনাগুলো ঘটেছে। কারো একার মাধ্যমে এগুলো ঘটেনি। এসব ঘটনাগুলো তদন্তে মূলহোতাকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি তাদের সহায়তাকারীদের যদি অভিযুক্ত করা না যায়, তাহলেই তো ব্যর্থতা। যেমন: গাড়িচালক মালেক যাদের গাড়ি চালিয়েছেন, তাদের যোগসাজশ ছাড়া তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে পারতেন না।’
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। কতটা গুরুত্বপূর্ণ হলে একটা দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়। যারা আলোচনা করেছেন, তারা চিহ্নিতও করেছেন যে এর পেছনে কে বা কারা দায়ী। সংসদীয় কমিটিতে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন রয়েছে। কন্ট্রোলার অডিটর জেনারেলের রিপোর্টে প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেটের বাইরে থেকে যান। অর্থাৎ যারা আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (দুদক, পুলিশ বা র্যাব), তারা নিজেদের বিবেচনার ওপর ভিত্তি করে সীমারেখা টেনে নিয়েছেন। তারা এর বাইরে যেতে চান না বা যাওয়া মতো সৎসাহস কিংবা দৃঢ়তা তাদের নেই। দুদকে কথিতও আছে যে, “একটা সীমারেখা আছে। এর বাইরে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে”।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে সরকার ও প্রশাসন দায়বদ্ধ ও স্বচ্ছ থাকবে। কিন্তু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এভাবে সরকার ও প্রশাসনকে, বিশেষ করে প্রশাসনকে দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার বাইরে রাখা হলো। এটা অগণতান্ত্রিক বলে আমি মনে করি। সামরিক বা একনায়কতন্ত্রে এটা চলতে পারে। কিন্তু, গণতন্ত্রে এটা চলে না।’
‘এভাবে দুর্নীতি কমবে তো না, বরং বাড়বে। বাংলাদেশ এখন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তা আরও বিস্তৃত হবে, গভীরতর হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধের প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। কিন্তু, দুর্নীতি হওয়ার সব পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে’, যোগ করেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেকসহ অধিদপ্তরের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই দুদক দুর্নীতির মামলা করেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ২০ জনের কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। যেকোনো দুর্নীতির অনুসন্ধান পেলে তা দুদকের আওতাধীন হলে সেটি নিয়ে তারা তদন্ত করে, সংশ্লিষ্টদের সম্পদের বিবরণী নেয়। কিংবা কোনো দুর্নীতির বিষয়ে সামনে আসলে সংশ্লিষ্টদের সম্পদের বিবরণী চাইতে দেখা যায় দুদককে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছিলেন, ‘এই যে ৪৫ জনের কথা বলা হচ্ছে, তালিকা দেখলে দেখা যাবে, তাদের বেশিরভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর উপরের দিকের কর্মকর্তা আছেন খুবই কম এবং সেটা অনেকটাই লোক দেখানো। কারণ, দুদকের ওপর একটা চাপ আছে যে, যারা উচ্চ পর্যায়ের তাদেরকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রাখার।’
‘এই যে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া, সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা, তার ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা, এটার মধ্যেও দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের লাভবান হওয়ার বিরাট সুযোগ তৈরি হয়। তদন্ত তো দূরে থাক, তাদের অনেকে এটার সুযোগ নেয়। বাস্তবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ কমই হয়। এরকম দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, এই যে সম্পদের বিবরণীর বিষয় বা দুদকের মামলা করা বা অনুসন্ধানের বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই যারা এগুলোর দায়িত্ব পান, তাদের জন্য এগুলো বাড়তি আয়ের উপায় বলে বিবেচিত হয়। সে কারণে দুদকের কাছ থেকেও আমরা প্রত্যাশিত ন্যায়বিচার পাই না’, যোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
দুদক বিষয়ে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলছিলেন, ‘দুর্নীতি যখন আসে, তখন দুদক দেখবে। নিম্নপদস্থদের পেছনে দুদক বিশাল বন্দুক নিয়ে নামবে। কিন্তু, বড় বড় দুর্নীতিবাজদের তারা স্পর্শ করবে না। আমরা বেসিক ব্যাংক কিংবা ফারমার্স ব্যাংকের খবর জানি। কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে বা শাস্তি দিয়েছে? দুদক অনেক বড় বড় কথা বলে। কিন্তু, দুদকের সেই সাহস বা মেরুদণ্ড নেই যে তারা বড় বড় অপরাধীর বিরুদ্ধে যাবে। দুদকের সদিচ্ছার অভাব নেই। আমি সেখানকার মানুষগুলোকে দোষ দেই না। আমি দুদকের অনেককে চিনি, যারা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চায়। এমনকি সরকারের ভেতর প্রচুর তরুণ কর্মকর্তা আছেন, যারা পরিবর্তন চান। কিন্তু, পদ্ধতিটাই এমন হয়ে গেছে যে তারা বেশিদিন প্রতিবাদ করতে পারবেন না। করতে গেলেই চাকরি চলে যাবে।’
তবে, উচ্চপদস্থরা সব সময়ই যে জবাবদিহির বাইরে থাকে, এমনটি মনে করেন না সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান। তবে, সব সময়ই বড় দুর্নীতিবাজদের ধরাও সম্ভব হয় না বলে উল্লেখ করে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘বড়দের ধরার যে বিষয়টি, বাংলাদেশে তো এটা হয়। বাংলাদেশে কি খালেদা জিয়ার বিচার হয়নি? কিন্তু, সব সময় যে বড় দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করা সম্ভব হয়, তা নয়।’
সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পাওয়ার পর রিজেন্ট যে জালিয়াতি করেছে, এ নিয়ে দুদক যে মামলা করেছে, মামলায় তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে পর্যন্ত অভিযুক্ত করেছেন। কিন্তু, ডিজিকে করেননি। এখন এই যে নথিপত্র, এর মধ্যে ডিজির কী সংশ্লিষ্টতা ছিল, সেটা যদি প্রমাণ করা না যায়, তাহলে তাকে অভিযুক্ত করলে তো মামলাটা দুর্বল হয়ে যাবে। সেজন্য মামলা করার সময় বিবেচনা করতে হয় যে, কতটুকু সংশ্লিষ্টতা আছে এবং কতটুকু আদালতে প্রমাণ করা যাবে।’
সাবেক এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর একজন সচিবকে রাস্তা থেকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং বড়দের ধরা হয় না, এটা ঠিক না। এখন আরও বড়দের কথা যদি বলি, তাদের বিরুদ্ধে অনেক সময় অ্যাকশন হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে হয় না। এগুলো তো রাজনৈতিক সংস্কৃতি। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা যেটা আছে, পাশাপাশি তাদের আমলাতান্ত্রিক যে লবিং, সব মিলিয়ে বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।’
‘উচ্চপদস্থরা সব সময় জবাবদিহির বাইরে থাকে’, এই কথাটি পাবলিক পারসেপশন বলে মনে করেন সাবেক এ জ্যেষ্ঠ সচিব। তবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান, সেটি উচ্চ-নিম্ন নির্বিশেষে করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ‘অভিযান যেন শুধু নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে না হয়। সেখানে ভালোভাবে তদন্ত করতে হবে। যদি উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও মামলা করতে হবে’, বলেন আবু আলম মো. শহীদ খান।
Comments