‘জৈব-সুরক্ষা বলয়’ ছাড়ছেন ক্রিকেটাররা
শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা কাটেনি। সফর হলেও তা অন্তত দিন দশেক পিছিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত অনুশীলনেও দেওয়া হয়েছে বিরতির। আর এতে তৈরি করা ‘জৈব-সুরক্ষা বলয়’ আপাতত থাকছে না।
শনিবার সভার পর ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান, ক্রিকেটারদের অনুশীলনে তিন দিনের বিরতির কথা জানান। এরপরই অনুশীলন শেষে হোটেলে গিয়ে আবার অনেক ক্রিকেটারই যার যার বাসায় ফেরত যাচ্ছেন। ঢাকার বাইরের ক্রিকেটাররা চলে আসছেন মিরপুর একাডেমি ভবনে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সাময়িকভাবে এই বলয় ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন ক্রিকেটাররা, ‘এই তিনদিন বায়ো সিকিউর বাবলটা থাকছে না। হোটেল ছেড়ে সবাই বাসায় যাবে। আবার যখন অনুশীলন শুরু হবে তখন বাবল তৈরি করে নিতে হবে। অর্থাৎ আরেক দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। নেগেটিভ আসার ভিত্তিতে হোটেলে তোলা হবে।’
হোটেল ছেড়ে বেরুতে পারলেও ক্রিকেটারদের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে, ‘তবে এমনিতে আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি যাতে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে এই সময়ে না যায়। বাসাতেই থাকে।’
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লম্বা বিরতির পর শুরু হয় বাংলাদেশ দলের স্কিল অনুশীলন। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারদের তোলা হয় হোটেল সোনারগাঁয়ে। সেখানে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ফ্লোর বরাদ্দ হয় তাদের জন্য। হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত নির্দিষ্ট বাসে যাতায়াত সীমাবদ্ধ ছিল ক্রিকেটারদের।
ক্যাম্পে ২৭ জন ডাক পেলেও প্রথম দিনে ১৬ ক্রিকেটার উঠেছিলেন হোটেলে। পরে পরে আইসোলেশন পেরিয়ে তাতে যোগ দেন আরও ৯ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পেসার আবু জায়েদ রাহি ও উপসর্গ থাকা ইবাদত হোসেন ছিলেন অনুশীলনের বাইরে।
সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার এই ক্যাম্পে থাকা ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরী জানালেন, করোনা আতঙ্ক সরিয়ে নির্বিঘ্নে অনুশীলনে নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছেন তারা, ‘করোনার পর আমরা জাতীয় দলের ক্যাম্প করছি। বায়ো বাবলের মধ্যে আমরা ক্যাম্পটা করছি, একটা নতুন অভিজ্ঞতা। কিন্তু অভিজ্ঞতাটা খারাপ না কারণ আমরা সত্যি কথা একটু আতঙ্কিত যে বাইরে গেলে কি হবে, আক্রান্ত হয়ে যাবো কীনা। এই জিনিসটা এখন একটু আমাদের মন থেকে দূরে থাকছে যে বায়ো বাবলের মধ্যে ঢুকলে আমরা নিরাপদ থাকবো। এই চিন্তা মাথায় রেখেই সুন্দরভাবে অনুশীলন করেছি। ‘
Comments