‘ক্ষোভ, পথে প্রকাশিত হোক’

Mizanur Rahman-1.jpg
হোল্ডিং ট্যাক্সের বাইরে বাড়তি টাকা দিয়ে বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তে ময়লা অরাজকতার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মিজানুর রহমানসহ ডিএসসিসির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

‘ময়লা ফেললেও টাকা দিতে হবে, না ফেললেও দিতে হবে’, সম্প্রতি এমন হুমকি পেয়েছেন জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। হুমকিদাতা নিজেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাছ থেকে টেন্ডারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মী পরিচয় দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে মিজানুর জানতে পারেন, ময়লা সংগ্রহের জন্য সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই বাসাবাড়িতে এসে এমন হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।

ঢাকা ওয়াসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রতিষ্ঠানটির এমডি তাকসিম এ খানকে নোংরা পানির শরবত খাওয়াতে এসে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি শুনে আসছিলাম। পরে কোম্পানির লিফলেট দেখলাম। মেয়রকেও টেলিভিশনে বলতে শুনলাম যে, বেসরকারি কোম্পানিকে ময়লা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা প্রতি পরিবার বা খানা থেকে একশ করে টাকা নেবে।’

‘যারা দায়িত্ব পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ শুনছি। অনেকের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাদের বাসায় দলবলে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসার খবরও পেয়েছি’, যোগ করেন তিনি।

‘কিন্তু কথা হলো, সিটি করপোরেশন তো আমাদের কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছেই। সেখানে ময়লা সংগ্রহের জন্য আলাদা টাকার অংশ বরাদ্দ আছে। সেই অবস্থায় ময়লা ফেলার জন্য আবার তারা বাড়তি টাকা কী করে চায়, আমরা জানতে চাই?’, বলেন তিনি।

হোল্ডিং ট্যাক্সের বাইরে বাড়তি টাকা দিয়ে বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তে ময়লা অরাজকতার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মিজানুর রহমানসহ ডিএসসিসির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় তারা ‘ক্ষোভ, পথে প্রকাশিত হোক’ শীর্ষক এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বাড়তি টাকা ছাড়া বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকেই নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে বাসিন্দারা খুবই ক্ষুব্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন যে, কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এ অরাজকতার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালালেও হুমকিতে পড়তে হয়। তাই ভাবলাম, আমাদের পথে নামা দরকার।’

‘গতকালের সাময়িক সিদ্ধান্তে আজ আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। সাহস করে স্থানীয়দের অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আগামীকালও আমরা একই সময়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা এই অরাজকতার শেষ দেখতে চাই’, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh inflation rate update

Inflation declines to 8.48%, lowest in 27 months    

The easing was driven by declines in both food and non-food inflation

23m ago