সেই বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল হোফেনহেইম
গত মৌসুমের সব শিরোপাই গিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরে। তাও প্রতিপক্ষদের প্রায় বিধ্বস্ত করে একের পর এক জয় আদায় করে নিয়েছে তারা। চলতি মৌসুমেও শালকে ০৪'কে আট গোলের মালা পরিয়ে বুন্ডেসলিগার নতুন মৌসুমের সূচনা করেছিল দলটি। সে দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে টিএসজি ১৮৯৯ হোফেনহেইমের কাছে পাত্তাই পেলো না। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেলেছে গত আসরে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করা দলটি।
হোফেনহেইমের মাঠে এদিন বায়ার্নকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আন্দেজ ক্রামারিচ। অপর দুটি গোল আসে এরমিন বিসাকচিচ, মুনাস দাবৌরের কাছ থেকে। বায়ার্নের হয়ে গোলটি করেন জশুয়া কিমিচ।
তবে ম্যাচের এ ফলাফলেও সন্তুষ্ট হওয়ার কথা বায়ার্নের। কারণ হোফেন হেইমের ফরোয়ার্ডরা এদিন বেশ কিছু শজ সুযোগ নষ্ট করে। অন্যথায় গোলের হারের ব্যাবধানটা দ্বিগুণ কিংবা আরও বেশি হতে পারতো।
এদিন ম্যাচের ১৬তম মিনিতেই পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। ডেনিস গেইগারের কর্নার কিক থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এরমিন বিসাকচিচ। শেষ মুহূর্তে অবশ্য গোললাইন থেকে তা ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বায়ার্নের আলফোন্সো ডেভিস। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি।
আট মিনিট পর বেঞ্জামিন পাভার্ডের ভুলে আরও একটি গোল হজম করে বায়ার্ন। সতীর্থকে বল পাস দিতে গিয়ে উল্টো একেবারে ফাঁকায় থাকা হোফেনহেইমের মুনাস দাবোসকে বল দিয়ে দেন তিনি। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের মাথার উপর দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বল জালে পাঠান এ ইসরাইলি ফরোয়ার্ড।
৩৬তম মিনিটে ব্যবধান কমায় বায়ার্ন। ডি-বক্স থেকে থমাস মুলারের ব্যাক পাস পেয়ে দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন জশুয়া কিমিচ। বিরতি পর্যন্ত এ ফল নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ৭৭তম মিনিটে তৃতীয় গোল করে দলটি। নিজেদের অর্ধ পাওয়া বলে এক সতীর্থের মাথা ঘুরে বাঁ প্রান্তে বল পান ইহলাস বেদু। আলতো ভলিতে ডি-বক্সে থাকা ক্রামারিচকে পাস দেন তিনি। বল ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শটে দূরের বারপোস্ট ঘেসে লক্ষ্যভেদ করেন এ ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে চতুর্থ গোলটি হজম করে চ্যাম্পিয়নরা। সফল স্পটকিকে বল জালে জড়ান ক্রামারিচ। ডি-বক্সের মধ্যে বেদুকে বায়ার্ন গোলরক্ষক নয়ার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
Comments