মুরারিচাঁদ কলেজে ধর্ষণ: জড়িত সন্দেহে আটক ২
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গত রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান র্যাব-৯ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েম।
আটককৃত রাজন আহমদ ছাত্রলীগের একজন কর্মী এবং অপরজনের নাম আইনুল ইসলাম বলে জানা গেছে।
র্যাব-৯ উপ-অধিনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েম বলেন, ‘এই দুজনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এবং মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে যদি জড়িত থাকার বিষয় নিশ্চিত হয়, তখন গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
এর আগে, রোববার রাতে হবিগঞ্জ থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জ সদর থেকে রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা এসপি ওবাইন।
এরপর রাত ১০টায় হবিগঞ্জ সদর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
ওইদিন সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অপর এক আসামি অর্জুন লস্কররকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে কলেজ ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক নারী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ।
এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিন জনকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫), তারেকুল ইসলাম (২৮) এবং অজ্ঞাতনামা দুই-তিন জন।
Comments