যেভাবে ভিলেন থেকে হিরো তেওয়াতিয়া
২২৩ রান তাড়া করতে হবে। নবম ওভারে ১০০ তুলে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন স্টিভেন স্মিথ। রবিন উত্থাপা, রিয়ান পরাগ, টম কারান, জোফরা আর্চাররা তখনো আসতে বাকি। এই সময় কীনা আনকোরা রাহুল তেওয়াতিয়াকে পাঠিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। তিনি এসে তো দলকে ডুবিয়েই দিচ্ছিলেন। অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জেতানোর পর এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, জীবনের সবচেয়ে বাজে ২০ বল খেলেছেন এই ম্যাচেই।
রোববার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আর রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ ছিল নাটকে ভরপুর। বারবার রঙ বদলের পর তাতে ৪ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান।
আরও পড়ুন- ইতিহাসের সেরা ফিল্ডিং সেভ দেখল ক্রিকেট! (ভিডিও)
দলের জয়ে ৭ ছক্কায় ৩১ বলে ৫৩ রান করেন তেওয়াতিয়া। মজার কথা হলো চারে নেমে প্রথম ১৯ বলে তিনি করেছিলেন মাত্র ৮ রান! পরের ১২ বলেই করেছেন ৪৫ রান।
বিশাল রান তাড়ায় এক পাশে ঝড় তুলেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু তার উপর চাপ বাড়িয়ে দেন বাঁহাতে ব্যাট করা লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার তেওয়াতিয়া। লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণইকে এলোমেলো ঘুরিয়ে ব্যাটেই বল আনতে পারছিলেন না। খেলেছেন একের পর এক ডট বল।
আরও পড়ুন- নাটকীয় ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া দেখল আইপিএল
কেন এই আনকোরা ব্যাটসম্যানকে এত আগে পাঠিয়ে ম্যাচ খোয়াতে বসেছে রাজস্থান, ধারাভাষ্যে এই আলোচনা তখন তুঙ্গে। হরিয়ানার ছেলে তেওয়াতিয়াও জানালেন কী চলছিল তার মনের ভেতর, ‘এখন আমি ভালো আছি। ওই ২০ বল ছিল আমার খেলা জীবনের সবচেয়ে বাজে ২০ বল। নেটে আমি খুব ভাল বল মারতে পারছিলাম। কাজেই আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল যে পারব। শুরুতে আমি ব্যাটে বল লাগাতেই পারছিলাম না। ডাগ আউটে তাকিয়ে দেখছিলাম, সবাই কৌতুহলভরা চোখে তাকিয়ে আছে। কারণ তারা জানে যে আমি মারতে পারি।’
এসব বিরূপ পরিস্থিতিতে নিজের উপর আস্থা যে কত জরুরী পরে বুঝিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি বলে লেগ স্পিনারকে মারতে তাকে উপরে পাঠানো হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেলেও শেলডন কটরেলকে এক ওভারে ৫ ছয় মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি, ‘আমার ধারনা আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। এটা কেবল একটা ছক্কার বিষয় ছিল। আমি পরে পেরেছি। এক ওভারে পাঁচটা মেরে দেওয়া দুর্দান্ত। লেগ স্পিনারকে ছক্কা মারার জন্য কোচ আমাকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি তাকে মারতে পারিনি। আমি বাকিদের মেরেছি।’
Comments