করোনায় ঢাকা-চট্টগ্রামে কাজ বন্ধ করে দেওয়া মানুষের ৬৮ শতাংশ চাকরি হারিয়েছে

মহামারিকালীন কাজ বন্ধ করে দেওয়া ব্যক্তিদের ওপর মুঠোফোনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সার্ভে
ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া মানুষদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ তাদের চাকরি হারিয়েছে। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে।

‘লুজিং লাইভলিহুড: দ্য লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্টস অব কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় চাকরি হারিয়েছেন ৭৬ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৫৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেশি চাকরি হারিয়েছেন বিভিন্ন বস্তিতে বসবাসরত মানুষ। সেখানে চাকরি হারিয়েছেন ৭১ শতাংশ। আর অন্য এলাকায় হারিয়েছেন ৬১ শতাংশ। আরও কিছু মানুষ কাজে ফিরে যাওয়ার আশায় আছেন এবং হয়তো তারাও সেটি ফিরে পেতে নাও পারেন। সুতরাং চাকরি হারানোর মানুষের সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি হতে পারে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের কর্মজীবীদের ওপর র‌্যাপিড প্যানেল ফোন সার্ভের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সার্ভেটি দুইটি ধাপে করা হয়েছে। একটি মহামারি শুরুর পরে। আরেকটি ১০ জুন থেকে ১০ জুলাইর মধ্যে।

ঢাকা থেকে সার্ভেটিতে অংশ নেওয়া প্রতি চার জনের একজন সাক্ষাৎকারটি দেওয়ার আগের সপ্তাহে সক্রিয়ভাবে কোনো কাজ করেননি। কিন্তু, ২৫ মার্চের আগে তারা কাজ করতেন। এই সংখ্যাটি চট্টগ্রামে ২২ শতাংশ।

সবচেয়ে আগে অর্থনৈতিক লকডাউন দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজারে। এই জেলায় বসবাসরত ৯০ শতাংশ বাংলাদেশিই জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেওয়া লকডাউন চলাকালীন তারা চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তিন এলাকার মানুষের মধ্যে আয় কমে যাওয়া বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেতনভোগী কর্মীদের ৮০ শতাংশ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের আয় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কমে গেছে।

মজুরিভিত্তিক শ্রমিকদের মধ্যে, যারা দৈনিক ও সাপ্তাহিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন, তাদের আয় বেতনভোগীদের চেয়ে অনেক বেশি (৪৯ শতাংশ) কমেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারী শ্রমিকরাও এই মহামারিতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তুলনামূলকভাবে বেশি চাকরি হারিয়েছেন।

আয় কমে যাওয়ায় ৬৯ শতাংশ পরিবারই তাদের স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমিয়েছেন। একই সংখ্যক মানুষ তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছেন।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সার্ভেতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৮ শতাংশের পরিবার সরকারি সহায়তা পেয়েছেন এবং ৪২ শতাংশের পরিবার তাদের জমানো অর্থ ব্যবহার করেছেন।

যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৪ শতাংশই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এরপর রয়েছেন গার্মেন্টসকর্মীরা। তাদের মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ১৯ শতাংশ।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে Covid-19 fallout: 68% lost jobs in Dhaka and Ctg

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

3h ago