কস্তা-সুয়ারেজ জুটি : একজন মারবে, আরেকজন কাটবে
বার্সেলোনা ছেড়ে লা লিগার আরেক ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। আর ক্লাবটিতে আগে থেকেই আছেন দিয়াগো কস্তা। এ দুই খেলোয়াড়েরই আগ্রাসী মেজাজের জন্য বদনাম রয়েছে। তাই এ জুটির ফলাফল দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় সমর্থকরা। কোনো কিছুতেই যারা তারা ছাড় দিচ্ছেন না তা কস্তার কথায় স্পষ্ট। জুটির একজন মারবেন ও অন্য জন কাটবেন বলে জানিয়েছেন এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
আগের দিন নতুন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেই ইতিহাস গড়েছেন সুয়ারেজ। একবিংশ শতাব্দীতে লা লিগায় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ম্যাচে জোড়া গোল করেন সুয়ারেজ। পাশাপাশি অ্যাতলেতিকোর হয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে অভিষেকেই জোড়া গোল পেলেন এ ফরোয়ার্ড। অথচ মাঠে ছিলেন মাত্র ১৯ মিনিট। ৭১তম মিনিটে কস্তার বদলী নেমেই এ কীর্তি গড়েন এ উরুগুইয়ান।
সংবাদ সম্মেলনেও তাই স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে তাদের জুটির কথা। কস্তার ভাষায়, 'এটা খুব দারুণ ব্যাপার। আমাদের একজন মারবে এবং অন্যজন কাটবে।'
২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে জিওর্জিও কিয়েলিনিকে কামড়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। একই ঘটনা এর আগে লিভারপুল ও আয়াক্সের হয়ে থাকাকালীন সময়েও করেছেন। সে সব ঘটনা মনে করেই হয়তো এমনটা বলেছেন কস্তা।
তবে সুয়ারেজের মতো খেলোয়াড়কে বার্সেলোনা কেন ছেড়ে দিয়েছেন তা বুঝতে পারছেন না কস্তা, 'ভাগ্যক্রমে আমাদের লুইসের (সুয়ারেজ) মতো খেলোয়াড় আছে। বার্সেলোনা ছেড়েছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না একটি ক্লাব কীভাবে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে দিনশেষে এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো। তার গোল এবং ড্রেসিং রুমে লড়াকু মানসিকতা ও শিরোপা জয়ের ইচ্ছা দিয়ে সে আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে।'
এদিকে সুয়ারেজ আসায় দলের নিজের অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে কস্তার। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। তাকে চলে যেতে বললে দল ছাড়তেও রাজী এ ফরোয়ার্ড, 'শুনেছিলাম তারা আমাকে বিক্রি করে দেবে। যদি ধারে পাঠানোর সুযোগও থাকে, তাহলে আমি চলে যাব। যদি তারা আমার চুক্তি বাতিল করতে চায়, তাহলেও সেটা আমি মেনে নেব। খুব পরিষ্কার বিষয়টা….আমি লড়ব এবং লড়াই চালিয়ে যাব, যদি চোট সেই সুযোগটা দেয়। আমি এখানে থাকছি কিন্তু যদি চলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে, চলে যাব।'
Comments