যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীকে হত্যার পর বাংলাদেশির আত্মহত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার পর এক বাংলাদেশি নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। অঙ্গরাজ্যটির ফিনিক্স শহরের বাসা থেকে এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার পর এক বাংলাদেশি নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। অঙ্গরাজ্যটির ফিনিক্স শহরের বাসা থেকে এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। 

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত আজকাল পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যাকশন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। অ্যারিজোনাতে বসবাসরত ফোবানা নির্বাচন কমিশনের চিফ কমিশনার মাহবুব রেজা রহিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

মাহবুব রেজা রহিমের বরাত দিয়ে জাকারিয়া মাসুদ জানান, স্ত্রী সৈয়দা সোহেলী আকতার (৪৩) ও দুই ছেলেকে নিয়ে পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশের মাগুরার আবুল আহসান হাবিব (৫২)। সেখানে যাওয়ার পর ২০০৮ সাল থেকেই তারা অ্যারিজোনায় থাকা শুরু করেন। তাদের বড় ছেলের বয়স ২৫ ও ছোট ছেলের ১৮। বড় ছেলে পরিবারের সঙ্গে থাকলেও আলাদা থাকতেন ছোট ছেলে। সেখানে হাবিব একটি সেভেন ইলাভেনে কাজ করতেন এবং তার স্ত্রীর একটি বিউটি পার্লার ছিল। করোনার কারণে তিনি কাজ হারান এবং তার স্ত্রীর পার্লারও বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর কলহের এক পর্যায়ে হাবিব তার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে চাইলে বড় ছেলে জরুরি সেবা ‘৯১১’ এ ফোন করে স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে চলে যায়। এরপর হাবিব বাসার বাইরে চলে যান। হাবিবের পর তার ছেলেও বাসার বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাবিব বাসায় ফিরে আসলে তার স্ত্রী ‘৯১১’ এ ফোন করেন। ফোনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময়ই হাবিব তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে।

বর্তমানে স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন জাকারিয়া মাসুদ জিকো।

Comments

The Daily Star  | English

ICT to begin trial for July-August 'massacre' on Thursday

ICT Chief Prosecutor says the trial of individuals involved in crimes against humanity during the uprising would be prioritised

30m ago