করোনা ইস্যুতে ফ্রেঞ্চ ওপেনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি!
ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর আগে সব টেনিস খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়। পজিটিভ ফল আসাদের স্বাভাবিকভাবেই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই তালিকায় আছেন স্পেনের ফার্নান্দো ভার্দাস্কো।
কিন্তু পরবর্তীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুবার পরীক্ষা করিয়ে দুবারই নেগেটিভ ফল পেয়েছেন তিনি। এতে হতাশ ও বেজায় ক্ষিপ্ত ভার্দাস্কো ফ্রেঞ্চ ওপেনের আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
৩৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের অভিযোগ, প্রথম দফা পরীক্ষার ফল সঠিক ছিল কিনা তা যাচাইয়ের জন্য আরেক দফা পরীক্ষার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কান দেয়নি আয়োজকরা। ফলে গত বৃহস্পতিবার রোল্যাঁ গ্যারো থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন তিনি।
এর আগে গত অগাস্টে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভার্দাস্কো। তার শরীরে রোগের কোনো লক্ষণ ছিল না। পরবর্তীতে সেরে ওঠেন তিনি। তাছাড়া, ফ্রেঞ্চ ওপেনে অংশ নিতে প্যারিসে পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিলেও প্রতিবারই নেগেটিভ ফল আসে তার।
মঙ্গলবার স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন কাদেনা সারকে ভার্দাস্কো বলেছেন, ‘হ্যাঁ, স্পষ্টতই আমি (মামলা করতে) চাই। কারও কাছেই এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, রোল্যাঁ গ্যারোর মতো কোনো টুর্নামেন্ট এমনটা করতে পারে। এমনটা হতে পারে না।’
বর্তমানে পুরুষ এককের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ৫৯তম স্থানে থাকা এই খেলোয়াড় যোগ করেছেন, ‘এটা অর্থ সংক্রান্ত কোনো বিষয় নয়। এটা এমন একটা ব্যাপার, যা আপনাকে ব্যক্তিগত এবং পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
ভার্দাস্কোর আগে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার দামির জুমহুরও ফ্রেঞ্চ ওপেনের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার কোচ পিটার পপোভিচ করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তাকে অংশ নিতে দেয়নি আয়োজকরা।
জুমহুর ও ভার্দাস্কোর মতো আরও কয়েকজনের জন্য তীব্র হতাশার ব্যাপার হলো, এরই মধ্যে নতুন নিয়ম করেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার তারা জানিয়েছে, প্রথম দফায় পজিটিভ আসলেই কাউকে ছেঁটে ফেলা হবে না এবং দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করানো হবে।
এমন পরিস্থিতিতে মুষড়ে পড়েছেন ভার্দাস্কো, ‘এই বছর আবার খেলব কিনা তা আমি জানি না, কারণ খেলার জন্য কোনো উদ্যম আর আমার নেই। তারা (ফ্রেঞ্চ ওপেনের আয়োজকরা) যা ইচ্ছা তা-ই করে, কোনো ধরনের সংহতি ও সম্মানের ধার ধারে না। খেলোয়াড়দের অধিকারের কোনো মূল্যই নেই।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি ড্র থেকে বাদ পড়ার পরের দিন তারা নিয়ম পরিবর্তন করেছে এবং এখন থেকে আপনি দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করাতে পারবেন। এটা ছিল চূড়ান্ত বাজে ব্যাপার।’
Comments