মনের ফুলদানিতে ঝরে পড়া প্রাণের গল্প
শেখ ইসতিয়াক একধারে একজন গায়ক, সুরকার এবং গীটার বাদক ছিলেন। তার মায়াময় কণ্ঠের গানগুলো শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখে আজও। ১৯৮৬ সালে মকসুদ জামিল মিন্টুর সুরে তার প্রথম অ্যালবাম ‘নন্দিতা’ প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের কয়েকটি গান শ্রোতারা দারুণ পছন্দ করে। গানগুলো হলো- একদিন ঘুম ভেঙে দেখি, আমার মনের ফুলদানিতে ও ‘নীলাঞ্জনা’।
১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অকালেই হারিয়ে যান ক্ষণজন্মা এই শিল্পী। চলে যাওয়ার ২০ বছর পরেও তার কণ্ঠের গানগুলো শ্রোতাদের আলোড়িত করে। ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গানের পাশাপাশি গিটারের প্রতি ছিল তার ভীষণরকম টান।
শেখ ইসতিয়াকের গাওয়া ‘একদিন ঘুম ভেঙে দেখি’, ‘ভাগ্যের ডাক্তার’ গানের গীতিকবি ও বন্ধু লিটন অধিকারী রিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই বন্ধুটি এক প্রকার জোর করেই আমাকে দিয়ে আধুনিক গান লিখিয়ে গীতিকার বানিয়েছিল। আমার কল্পনার আনাচে-কানাচে কোথাও গান লেখার স্বপ্ন ছিল না। আমি বলেছিলাম, “আমাকে ক্ষমা করে দাও, উল্টা-পাল্টা লিখে কী হবে।” আমার বন্ধু বলেছিল, “শুধু আমার জন্য লিখবে। তাতে আমি সুর করে দুজনে মিলে শুনবো, আর কারও জন্য নয়।” কেউ গান লেখার কথা জানতে চাইলে তোমার গল্প বলতে ভুলি না বন্ধু।’
মকসুদ জামিল মিন্টুর সুরে প্রথম অ্যালবামের নাম ‘নন্দিতা’। সর্বমোট সাতটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল তার। নিজের সুরে শেষ অ্যালবামের নাম ‘তুমি অভিমানী’। ‘ওগো বিদেশিনী’ নামের সিনেমায় প্লেব্যাক করেছিলেন তিনি।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- একদিন ঘুম ভেঙে দেখি, আমার মনের ফুলদানিতে, নন্দিতা তোমার কথা, নীলাঞ্জনা, ভাগ্যের ডাক্তার, কত যে ফাগুন আসে, টিপ টিপ বৃষ্টি, শোন আমি কি সেই, ভুল করে যদি ডাকো কোনোদিন, জোছনা রাতে মনটা আমার।
Comments