ম্যাচসেরা হয়ে প্রয়াত মাকে স্মরণ করলেন রশিদ
মা ছিলেন তার সবচেয়ে বড় ভক্ত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলে সারা রাত কথা বলতেন মায়ের সঙ্গে। রশিদ খানের জন্য এসব এখন কেবলই স্মৃতি, খুব যত্ন করে মনের ভেতরে তুলে রাখা। গত জুনে মারা গেছেন আফগানিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটারের মা।
মঙ্গলবার রাতে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দেখানোর পর রশিদ স্মরণ করেন প্রয়াত মাকে। পুরস্কার নিতে গিয়ে কথা বলার সময় আবেগ ছুঁয়ে যায় তাকে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তরুণ লেগ স্পিনার বলেন, ‘গত দেড়টা বছর খুবই কঠিন সময় পার করেছি আমি। প্রথমে আমার বাবা মারা গেলেন। এরপর মা। সামলে উঠতে তাই একটু সময় লেগেছে। মা ছিলেন আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত। বিশেষ করে, আইপিএলে যখনই ম্যান অব দা ম্যাচ হতাম, সবসময়ই আমার সঙ্গে সারা রাত কথা বলতেন মা।’
টানা দুই হারের পর রশিদের নৈপুণ্যে চলতি আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে হায়দরাবাদ। আবুধাবিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৫ রানে হারিয়েছে তারা। ১৬২ রানের সাদামাটা স্কোর গড়া দলটির জয়ের নায়ক রশিদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল বেশ মন্থর। তাই শুরু থেকেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গতিতে বল করেন রশিদ। ম্যাচে তার প্রথম ডেলিভারিটি ছিল ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগের, দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের বিপক্ষে।
বোলিংয়ের কৌশলে পরিবর্তন আনার কারণ জানাতে গিয়ে রশিদ যোগ করেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) জোরে বল করেছি। প্রথম বলটি করার পরই বুঝতে পারি (উইকেট মন্থর)। দুই-তিনটি বল করলেই বোঝা যায় উপযুক্ত গতি কোনটি (উইকেটের জন্য)।’
Comments