টেকনাফ থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রামের ডিআইজি

টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শনের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন। ছবি: স্টার

পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালনে উৎসাহ দিতে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

আজ বুধবার সকালে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন করেন ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও বেড়েছে ইয়াবা চোরাকারবার। এ কারণে এখানকার ইয়াবা কারবারিদের নতুন তালিকা করা হবে এবং কোনো মাদক কারবারিকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না’

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেসব মাদক কারবারি আছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবনকারী ও মাদক কারবারি আইনের দৃষ্টিতে দুটিই অপরাধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু নতুন মাদক কারবারিদের তালিকা রিভিউ করব, তাই তাদের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন আমরা তাই করব। নতুন তালিকা করে ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, কী মামলা আছে, কার কী প্রোফাইল সবকিছু যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘টেকনাফে সিনহার ঘটনা একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। একসঙ্গে সবাই বদলি হয়েছেন। এখন কনস্টেবল থেকে এসপি পর্যন্ত যারা আছেন সবাই নতুন। নতুনভাবে যারা যোগদান করেছেন তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে উৎসাহ দিতে এসেছি। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের যে ভূমিকা আছে সেটি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে নতুন টিম। অপরাধ প্রবণতা দূর করতে সবাই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত আছে।’

ডিআইজি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনের সময় কোনো কর্মকর্তার ঘুরেফিরে এক জায়গায় থাকার ট্র্যাডিশন থাকবে না। তবে, চাকরি করতে এসে এক থানার পাশের থানায় চাকরি করতে পারবে না এমন বিধি-নিষেধ নেই। যেহেতু বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনায় এসেছে। তাই ঘুরে ফিরে দায়িত্বপালন করতে দেওয়া হবে না।’

ডিআইজি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো কারণে কিছুটা শিথিল হয়েছিল পুলিশের কার্যক্রম। সেই শিথিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে জেলা পুলিশের নতুন টিম।’

কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, ‘থানা নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের জায়গা। এখানে কোনো দালাল-টাউটকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। দালালরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় পাবে না।’

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। ফলে এ ঘটনার পর পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে একযোগে সব সদস্যকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশের সদর দপ্তর।

Comments

The Daily Star  | English
NBR Protests

NBR officials again announce pen-down strike

This time, they will observe the strike for three hours beginning at 9 am on June 23

1h ago