একাদশ সংসদে কোরাম সংকটে ক্ষতি ২২ কোটি টাকা: টিআইবি

একাদশ সংসদের প্রথম পাঁচ অধিবেশনে কোরাম সংকট ছিল ১৯ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যার আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংসদ ভবন
ফাইল ফটো

একাদশ সংসদের প্রথম পাঁচ অধিবেশনে কোরাম সংকট ছিল ১৯ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যার আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বুধবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়।

টিআইবি আয়োজিত 'পার্লামেন্ট ওয়াচ-একাদশ জাতীয় সংসদ (প্রথম থেকে পঞ্চম অধিবেশন)' শীর্ষক ওয়েবিনারে  এ সমীক্ষাটি প্রকাশ করা হয়।

সমীক্ষায় টিআইবি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে পঞ্চম অধিবেশনে কোরাম সংকটের কারণে মোট সময়ের ১৭ দশমিক তিন শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে।

প্রতি কার্যদিবসে গড়ে  ১৯ মিনিট করে কোরাম সংকট ছিল। পাঁচটি অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ৬১টি।

জাতীয় সংসদের সদস্য ৩৫০ জন এবং কোরামের জন্য কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্যের প্রয়োজন। অন্যথায়, সংসদের অধিবেশন বসতে পারে না।

সমীক্ষায় টিআইবি জানায়, সংসদে একটি বিল পাস করতে গড়ে ৩২ মিনিট সময় লেগেছে যা গত দশম সংসদে ৩১ মিনিট ছিল।

টিআইবি জানায়, সংসদের বিল পাস করতে সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ার আগ্রহের কমতি দেখা গিয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এ সময়ে সক্রিয় দেখা যায়নি।

ওয়েবিনারে টিআইবি এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তারা মনে করেন যে দেশে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।

'অষ্টম ও নবম সংসদের মূল সমস্যা ছিল সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি। যদিও বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদে কোনও ওয়াকআউট হয়নি। তবে, এটি বন্ধ হতে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আইন তৈরি, জবাবদিহিতা ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে আমরা সংসদের প্রত্যাশিত ভূমিকা দেখতে পাইনি,'

৩০ জানুয়ারি, ২০১৮ তে বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। বিএনপি এ সংসদে মোট আটটি আসন পায়।

প্রতিবেদনে টিআইবি পর্যবেক্ষণ করেছে যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংসদীয় কার্যক্রমে প্রশ্নবিদ্ধ- বিশেষত আইন প্রণয়ন, বাজেট গঠন ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রয়োগকে আরও জোরদার করেছে।

Comments