ধর্ষণের প্রতিবাদ: গ্রেপ্তার ৮ ছাত্রদল নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর
দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদলের আট নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নিদের্শ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুর দুটার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩নং আমলি আদালতের দ্রুত বিচার আইনের বিচারক মাসফিকুল হাসান এ আদেশ দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জেলা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, ‘দেশব্যাপী গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচী হিসেবে জেলা ছাত্র দলের উদ্যোগে গত সোমবার দুপুরে নোয়াখালী পৌর বাজারের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্যে একত্রিত তারা। দুপুর ১২টার সময় সুধারাম মডেল থানার একদল পুলিশ পৌর বাজার এলাকায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের ওপর এলাপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে। এতে করে ছাত্রদলের ৩০ নেতা কর্মী আহত হয়। এ সময় ছাত্রদলের আট নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।’
তিনি জানান, আটককৃত ছাত্রদল নেতারা হচ্ছেন- পৌর ছাত্রদল আহবায়ক রাকিব বিল্লাহ তুষার, নোয়াখালী কলেজ শাখা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, পৌর ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক রনি সরোয়ার, থানা ছাত্রদল নেতা সুজন হাম্মাদী, পৌর ছাত্রদল নেতা আশ্রাফুল করিম পাবেল, মুশীদুর রহমান রায়হান, মিনার ও এমরান।
তিনি আটক নেতা-কর্মীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, বিএনপি নেতা ছলিম উল্যাহ বাহার, আবু নাছের, ভিপি জসিম উদ্দিন, ছাবের আহমেদ, এড. শাহাদাত হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু, আশরাফ আলী, ওমর ফারুক প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা জামাত-শিবির কর্মীদের নিয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড করছিল। এ ছাড়া, তারা সমাবেশের নামে জড়ো হয়ে ভাংচুর ও অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা, সরকার বিরোধী উসকানী মূলক বক্তব্য এবং বিনা অনুমতিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। এসব কারণে পুলিশ তাদের ছর্ত্রভঙ্গ করে। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।’
Comments