উখিয়ায় গরু চুরির অপবাদে নির্যাতন, কারাগারে ৫ আসামি
কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় গরু চুরির অপবাদে এক কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন।
আসামিরা জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে, ঘটনার মূলহোতা জালাল আহমদ পলাতক আছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোনার পাড়ায় এক কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয়।
এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা জানান, ‘এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২ নং থেকে ৬ নং আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন এবং আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই কিশোরকে নির্যাতনের পর ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্যাতনকারী জালাল আহমদ নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও এবং মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় জালাল আহমদসহ ৬ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় ২৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বোন।’
মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জালাল আহমদ বিনা অপরাধে আমার ভাইকে সোনারপাড়া বাজার থেকে ধরে নিয়ে গরু চুরির অভিযোগে নির্যাতন করে। সারারাত বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। পরে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এমন অমানবিক নির্যাতনে আমার ভাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় মেম্বার রফিকুল্লাহ উদ্ধার করে উখিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনো আমার ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
ইউপি সদস্য রফিকুল্লাহ বলেন, ‘ওই কিশোরকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
আরও পড়ুন:
Comments