পদ্মার ভাঙনের কবলে পদ্মা রিসোর্ট

পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা রিসোর্ট। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত দুই সপ্তাহের কয়েক দফা ভাঙনে রিসোর্টের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে।
পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে মুন্সিগঞ্জের পদ্মা রিসোর্ট। কর্তৃপক্ষ বলছে এরই মধ্যে রিসোর্টের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা রিসোর্ট। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত দুই সপ্তাহের কয়েক দফা ভাঙনে রিসোর্টের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে।

২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩৩০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত পদ্মা রিসোর্টের যাত্রা শুরু হয়।

ভাঙনে এরই মধ্যে ১৬টি কটেজের মধ্যে ২টি কটেজ, বসার স্থান, বাগান, মাঠের কিছু অংশ পদ্মায় ভেঙে গেছে। বাকি কটেজগুলো সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।

পদ্মা রিসোর্টের পরিচালক সাদেক হোসেন মান্না বলেন, 'সারাদেশে এই রিসোর্টটির পরিচিতি আছে। দেশি-বিদেশি অনেক ভ্রমণকারী এখানে আসেন। রিসোর্টটি যেই চরে অবস্থিত এটি ১৯৯২-৯৪ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর ২০০১-২০০২ সালের দিকে আবার জেগে উঠে বড় নওপাড়া নামে পরিচিত এই চরটি। তারপর ২০০৭ সালে পদ্মা রিসোর্টটি স্থাপন করা হয়।'

তিনি বলেন, 'দুই সপ্তাহ ধরে চরটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হলে কটেজ পর্যন্ত এসে পড়ে। রিসোর্টের প্রায় ১৬৫ শতাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাজনিত কারণে দর্শনার্থীদের আসা বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে।'

তিনি জানান, ১৪টি কটেজ সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। এসব কাজে পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। নতুন জায়গা নির্বাচন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। নতুন কোন জায়গায় আবার শুরু করতে হবে। কিন্তু, সেটা কবে সম্ভব হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা রিসোর্টটি এই ভাঙনের কবলে পড়ে। রিসোর্টের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। তবে এখনো বিলীন জমির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি চরটির।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago