ব্রহ্মপুত্র পাড়ে আবারও বন্যার শঙ্কা

কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
Kurigram_Bramhapurta_2Oct20.jpg
পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও বন্যার আতঙ্কে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষ | ছবি: স্টার

কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উজানের পানিতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থা থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে আবারও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।’

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের কৃষক মোবারক আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বৃহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। আজ পানি অনেক বেড়ে গেছে। আশে পাশের চরগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলের ক্ষেতগুলো তলিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ফের যদি আংগোরে বানে পরান লাগে তাইলে আমগো বাঁচার উপায় থাইকলোনি। আংগো আবাদ-সাবাদ ব্যাকটি খ্যায় যাবো।’

চিলমারী ঘাটের মাঝি যোবেদ আলী বলেন, বৃষ্টিপাত নেই কিন্তু উজান থেকে পানি আসছে আর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বন্যা পরিস্থিতি সব সময় ভয়াবহ হয়। চার দফা বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর পঞ্চম দফা বন্যা এলে তাদের ক্ষতি হয়ে উঠবে অপূরণীয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র পাড়ের যাত্রাপুর এলাকার দিনমজুর আখলেসা বেওয়া বলেন, বন্যায় তার একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক কষ্টে মেরামত করেছেন। আবার যদি বন্যা হয় তাহলে আর ঘর-বাড়ি মেরামত করার সামর্থ্য থাকবে না।

Comments

The Daily Star  | English
World Bank’s senior official speaks on lending culture in Bangladesh

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

13h ago