গাইবান্ধা-বগুড়ায় ৫টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
গাইবান্ধা ও বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে গাইবান্ধায় তিনটি এবং বগুড়ায় দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ফসলের জমি। গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টায় থেকে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ২৬ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বগলাগারী ও বালুয়া এলাকায় দুই জায়গায় করতোয়া নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় মোট ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের বেশ কিছু অংশ বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় বুক সমান পানি জমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, জেলার ৫০ হাজার মানুষ গত চার-পাঁচ দিন হলো পানি বন্দি অবস্থায় আছে।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বালুয়া গ্রামের আবু সাইদ বলেন, ‘নদীর পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় গতকাল রাতে করতোয়া নদীর ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে ১৫ থেকে ২০ গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা নদীর পানি স্থির রয়েছে। আগামীকাল থেকে পানি কমার সম্ভাবনা আছে।’
অন্যদিকে সকাল থেকে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার এবং বাঙালি নদীর পানি ৪৩ দশমিক সাত সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় এই পর্যন্ত মোট এক হাজার ৪৪৫ হেক্টর ফসলের জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এ ছাড়া, সারিয়াকান্দি উপজেলায় বাঙালি নদীর তীরে অবস্থিত চর গোদাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক অংশ বাঙালি নদীতে ধসে পড়েছে।
Comments