ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন ডমিঙ্গো

শ্রীলঙ্কা সফর ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে চলতি বছরে আর কোন সূচি নেই। জানুয়ারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলতে আসার কথা। মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের সূচি এরমধ্যেই ঠিক হয়েছে।
Russell Domingo
ছবি: বিসিবি

অনেকটা এগিয়ে গিয়েও শ্রীলঙ্কা সফর শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা পিছিয়ে গেছে আরও। তা নিয়ে হতাশা থাকলেও বিসিবির সিদ্ধান্তে একমত প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দিয়েছেন আশার খবরও। আগামী ডিসেম্বরে এক বা একাধিক সফরের আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেদেশের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের কঠিন কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে খেলতে যেতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ।

এই সফর স্থগিত হওয়ায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাও হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হতাশা আড়াল করেননি ডমিঙ্গো, তবে কঠিন শর্ত না মেনে খেলা সম্ভব ছিল না বলেও মত তার,    ‘শ্রীলঙ্কা সফর না হওয়ায় অবশ্যই আমি হতাশ। আমার মনে হয় বিসিবি ঠিক অবস্থানে ছিল এই ব্যাপারে। কোন প্রস্তুতি ছাড়া দিন দশেক একটা ঘরে বন্দি থাকা খুব কঠিন হতো। আমি পুরোপুরি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। যদিও এটা আমাদের আরও কিছু সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রেখেছে।’

শ্রীলঙ্কা সফর ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে চলতি বছরে আর কোন সূচি নেই। জানুয়ারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলতে আসার কথা। মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের সূচি এরমধ্যেই ঠিক হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের কোচ জানালেন, চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে বাংলাদেশ। তেমন আলোচনাই নাকি একাধিক দেশের সঙ্গে চলছে বিসিবির, ‘ জিম্বাবুয়ের সিরিজ শেষে সাত মাসের মতো হয়ে গেল আমরা দল একসঙ্গে হয়ে খেলতে পারেনি। বিসিবি কিছু ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ভাবছে।  এছাড়া ডিসেম্বরে বাইরে সফরের জন্য এক-দুইটা আমন্ত্রণ আছে। এখনো কিছু নিশ্চিত না। ’

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর  ক্রিকেট চালু হওয়ার  তাগিদ দেখছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান, ‘আমার মনে হয় ঘরোয়া ক্রিকেট চালু হওয়া দরকার। কোচ হিসেবে আমি মনে করি ছেলেদের আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তারপরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামা উচিত। ’

‘যদি কোন ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হয়, সেটা প্রথম শ্রেণীর হওয়া উচিত।’

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Detained opposition activists

The flipside of the democracy carnival

Bereft of the basic rights to assemble and express, let alone protest, the people of Bangladesh are currently bearing the brunt of the coercive apparatuses of the state.

10h ago