সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করছে: বিএনপি

‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি’র কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করছে বলে আজ শুক্রবার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
fakhrul_3.jpg
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি’র কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করছে বলে আজ শুক্রবার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমাদের সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে অযৌক্তিক উপায়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার সাহস দেখায়।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এহেন সেনা সমাবেশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এ ছাড়া, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ ধরনের অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক আন্তঃআঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে পদক্ষেপ নিতে বর্তমান নতজানু সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের অবৈধ সেনা মোতায়েন করার বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবাদ করছে না। ভারত-চীন সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়, কিন্তু মিয়ানমার সেনাবাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে আমাদের সরকার নীরব।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার’ কারণে তিন বছর ধরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হয়নি।

তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কেবল চুপচাপ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে একটি চিঠি লিখেছিল। এখন পর্যন্ত সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।’

ফখরুল বলেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মোতায়েন বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফল এবং গণহত্যার মুখে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে প্রতিবেশী দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বহুমুখী ও সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী-আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই সমস্যাটি মোকাবিলায় সর্বস্তরে ব্যর্থ হচ্ছি।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশকে সহায়তা করে এমন বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে সরকার বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারের সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সম্প্রদায়। এই জনগোষ্ঠীকে বিশ্ব মানচিত্রে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাখাইন রাজ্যে উপযুক্ত নাগরিক অধিকার ও মর্যাদায় তাদের স্বদেশে পুনর্বাসনের কোনো বিকল্প নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago