সবার আগে ঘরোয়া ক্রিকেট চালুর দরকার দেখছেন কোচ

করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর শ্রীলঙ্কা সফরে দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তা ভেস্তে যাওয়ায় বদলেছে বিসিবির চিন্তার আদল। এখনই আর আন্তর্জাতিক সিরিজ নিয়ে না ভেবে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর পথে বোর্ড। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও বললেন, হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না নেমে ক্রিকেটাররা খেলুক ঘরের মাঠে।
চলতি বছর মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করার পরই ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দুই রাউন্ড পরই বন্ধ হয়ে যায় করোনার থাবায়।
এরপর কোন পর্যায়ের খেলা চালুরই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। অক্টোবরে লঙ্কা সফর দিয়েই ফেরার প্রস্তুতি অনেকখানিই এগিয়ে গিয়েছিল।
সেটা না হওয়াতে খারাপের মধ্যে ভালো দেখছেন ডমিঙ্গো। শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, ধাপে ধাপে এগুনোই হবে আদর্শ, ‘প্রীতি ম্যাচ থেকে একেবারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেমে যাওয়া হতো বড় ধাপ। কাজেই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে যাওয়াটা সহজ করে। জাতীয় দলকে যা দারুণ সহায়তা যোগায়। আগামী কয়েক সপ্তাহর মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টা করছে বিসিবি। এটা দারুণ ব্যাপার হবে সবার জন্য। এইচপি দলকেও দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। যারা জাতীয় দলে ঢোকার লড়াইয়ে আছে।’
তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করতে হলেও দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি রাখবে বড় ভূমিকা। এখনো প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এসবের মধ্যে পুরোদমে ক্রিকেট চালুর পরিস্থিতি আছে কীনা সে উত্তর অবশ্য দিতে চাইলেন না বাংলাদেশের কোচ, ‘আমি ডাক্তার বা বিজ্ঞানী না। এই উত্তর আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। এই প্রশ্ন আমি তাদের কাছে ছেড়ে দেব যারা উত্তর দেওয়ার জন্য আদর্শ। আপনি যদি আমাকে ইনস্যুয়িংঙ্গার, আউট স্যুইংঙ্গার বা ফরোয়ার্ড ডিফেন্স নিয়ে জানতে চান, তাহলে আমি বলতে পারি।’
তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করতে সম্ভাব্য সেরা ব্যবস্থায় বিসিবি করবে বলে বিশ্বাস তার, ‘এই দেশে ভাইরাসের কি অবস্থা তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য যথেষ্ট ধারণা নেই আমার। আমি কেবল জানি যখন আমরা ক্রিকেট খেলব তখন যেন পরিবেশটা নিরাপদ থাকে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত ঘরোয়া ক্রিকেট চালুর আগে বিসিবি সেরা ব্যবস্থা করবে।’
Comments