খেলা না থাকার সবচেয়ে ভালো যে দিক দেখছেন ডমিঙ্গো
লম্বা সময় খেলা নেই। একটা সফর ঠিকঠাক হয়েও ভেস্তে গেছে। কবে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামবে বাংলাদেশ তার নেই কোন নিশ্চয়তা। এমন লক্ষ্যহীন অবস্থায় অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ, মানছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে এর একটা ভালো দিকও খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
মার্চে খেলা বন্ধ হওয়ার পর অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। তা না হওয়ায় চলতি বছরেই আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোন সূচি সামনে নেই।
তাও জৈব সুরক্ষিত বলয় জারি রেখে অনুশীলন চালু আছে জাতীয় দলের। শুক্রবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানান, এমন অনিশ্চয়তায় আছে কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবে তা খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার দ্বারও, ‘আমার মনে হয় বরাবরই এটা চ্যালেঞ্জ। এই কারণে আমাদের অনুশীলনে আমরা নতুনত্ব আনছি। এই মুহূর্তে বেশ বড় একটা গ্রুপ আছে। আমরা কিছু ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছি, কারণ কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া যদি একই জিনিস করতে থাকি তাহলে এটা খুবই কঠিন হয়ে যায়।’
‘এটা আমাদের খেলোয়াড়দের স্কিল নিয়ে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। খেলার মধ্যে থাকলে যেটা পারা যায় না, যেমন কারো ছোটখাটো টেকনিক্যাল দিক বদলে দেওয়া, এইগুলা করতে পারছি। খেলোয়াড়দের টেকনিকে প্রভাব ফেলতে পারছি। একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য মাথায় নিয়েই আমরা অনুশীলন চালাই।’
চোট কাটিয়ে ফেরা বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম, আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর কিছু টেকনিক্যাল বিষয় বদলের কথাও নির্দিষ্ট করে জানান তিনি, ‘সাদমানের উদাহরণ দিতে পারি। ওর স্টান্স আমরা একটু বদলে দিচ্ছি। ওর পেছনে এসে খেলা বলে স্ট্যান্স খুব উপরের দিকে ছিল। আমরা চেষ্টা করছি আরেকটু নিচে রাখার। এতে ওর ব্যাট উপরে থাকবে, শটে জোর বাড়বে। এই বদলে ওকে মানিয়ে নিতে মাসখানেক লেগে যেতে পারে।’
‘স্পিন খেলতে গেলে শান্তর মাথা একটু নড়ে যায়, এটা আমরা সোজা রাখার চেষ্টা করছি। এই ধরনের টেকনিক্যাল বিষয় ঠিক করা হচ্ছে, এতে খুব সন্তুষ্ট আমি।’
Comments