নামার আগে স্নায়ুচাপে ছিলেন সেঞ্চুরি করা মুমিনুল

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ দিনে শনিবার আলো ছড়ান মুমিনুল।
Mominul Haque
ছবি: বিসিবি

হোক প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু করোনাভাইরাস বিরতি পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর কোন ম্যাচ খেলায় কিছুটা স্নায়ুচাপে  ভুগছিলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। স্নায়ুচাপ পেরিয়ে অবশ্য দারুণ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ দিনে শনিবার আলো ছড়ান মুমিনুল।

রায়ান কুক একাদশের হয়ে ১৪ চার, ১ ছক্কায় ২২০ বলে করেন ১১৭ রান। চেনা মাঠ, প্রতিপক্ষে চেনা বোলার। সব অনুকূলে থাকলেও লম্বা সময়ের জড়তা ভয় ধরাচ্ছিল তাকে, ‘খেলা শুরুর আগে একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম। মানুষ হিসেবে একটু চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক। গত ছয়-সাত মাস আমরা খেলি নাই, কেবল অনুশীলন করে যাচ্ছিলাম। কাজেই স্নায়ুচাপে ছিলাম।’

ব্যাটিংয়ে নেমেই অবশ্য সেই চাপ উড়িয়ে দেন চেনা দাপটে। তবে টেস্ট অধিনায়ক বেশি তৃপ্ত সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি হওয়ায়। আগের দিন দারুণ বল করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। ৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে এদিন মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন আরেক পেসার ইবাদত হোসেন। বাকি পেসাররাও কমবেশি রেখেছেন অবদান।

আগের দিন ফিফটি পেয়েছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। এদিন মুমিনুলের পাশাপাশি ৬৬ রান এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে। দুই দিনের ম্যাচটা তাই উপভোগ্য মুমিনুলের কাছে, ‘আমাদের খুব ভালো অনুশীলন হয়েছে। বিশেষ করে পেসারদের, এবং ব্যাটসম্যানদেরও যারা রান পেয়েছে। দুই দিনের ম্যাচ আমি খুব উপভোগ করেছি। পেস বোলাররা খুব ভাল করেছে।’

শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। টেস্টে ফেরা তো আরও অনিশ্চিত। তা মাথায় রেখেই নিজেদের খেলাটা চালু রাখার তাগিদ বোধ করছিলেন মুমিনুল,  ‘যখন টেস্ট ম্যাচ হবে তখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। কারণ ছয়-সাত মাস পর কখন হয় জানি না। সেজন্য টেস্ট ম্যাচে যেমন পরিবেশ, পরিস্থিতি থাকে সেরকম ভেবে খেলার চেষ্টা করেছি। রানের জন্য না ভেবে সারাদিন উইকেটে থাকা। অনেক দিন খেলার মধ্যে না থাকায় পরিবেশের সঙ্গে মানানোর চেষ্টা করেছি।’

সোমবার থেকে একই ভেন্যুতে আরেকটি দুই দিনের ম্যাচ খেলবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ১১ অক্টোবর থেকে হবে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago