বগুড়ায় বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর, আহত ২
নদী থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত আলী শেখের গাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় ইউএনওর সঙ্গে থাকা নৈশ প্রহরী মনজুরুল হক রনজু ও ভূমি অফিসের চেইনম্যান উজ্জল কুমার পাল আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, উত্তেজিত গ্রামবাসী এই হামলা চালিয়েছে। আহতদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় জনকে আটক করলেও নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ বিকেল শেরপুরের বাজার মনিটরিং করছিলেন। সে সময় ফোনে তিনি জানতে পারেন যে গজারিয়া গ্রামে অবৈধভাবে বাঙালি নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে ইউএনও বালু তোলার পাইপ দেখতে পেলে তা সরানোর নির্দেশ দেন। তখন স্থানীয় প্রায় শ'খানিক নারী-পুরুষ একত্রিত হয় এবং ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখেন। সে সময় ইউএনওর গাড়ি ভাংচুর করে তারা এবং তার দুই সহযোগীকে পিটিয়ে আহত করে।’
জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ বলেন, ‘গজারিয়া গ্রামে অবৈধভাবে বাঙালি নদী থেকে বালু তোলার সংবাদ পেয়ে আমি এসি ল্যান্ড এর গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে বালু তোলার মেশিন না দেখলেও ৫০০ মিটার এর মত পাইপ দেখতে পাই। গ্রামবাসীকে পাইপ সরিয়ে নিতে বললে তারা অসম্মতি জানায়। তখন, আমার সঙ্গে থাকা দুইজনকে পাইপগুলো সরাতে বললে গ্রামের প্রায় ১০০ জনের মতো নারী-পুরুষ উত্তেজিত হয় এবং এসি ল্যান্ড এর গাড়ির সব কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘তারা ইট ও লাঠি দিয়ে আমার সহকারীদের ওপর হামলা চালায়। পরে, আমাদের গাড়ি গাছের গুড়ি দিয়ে ৬টা পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে ছাড়া পেয়ে গাড়ি নিয়ে শেরপুর থানায় যাই।’
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইউএনও।
Comments