রিফাত হত্যা মামলা

রায়ের কপি নিয়ে ঢাকায় মিন্নির বাবা ও দণ্ডপ্রাপ্তদের অভিভাবকরা

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি নিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ আসামির অভিবাবকরা এখন ঢাকায়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৪২৯ পৃষ্ঠার রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ঢাকার উদ্দেশে বরগুনা ছাড়েন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও অন্যান্যরা।
রিফাত শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি নিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ আসামির অভিবাবকরা এখন ঢাকায়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৪২৯ পৃষ্ঠার রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ঢাকার উদ্দেশে বরগুনা ছাড়েন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও অন্যান্যরা।

বরগুনা আদালতে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিন্নির বাবা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পান এবং তখনই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রায়ের কপি নিয়ে আজ রোববার সকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার চেম্বারে যাবেন বলে জানান ওই আইনজীবী। তবে, এ বিষয়ে এ প্রতিবেদক মিন্নির বাবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দেন। খালাস দেন চার আসামিকে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত লোকের ভিড়ে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

রিফাত হত্যায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

2h ago