সেভিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল বার্সেলোনা
আগের দুই ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। কোনো গোলও হজম করেনি তারা। তাতে যেন উড়ছিল কাতালানরা। তবে তৃতীয় ম্যাচেই তাদের মাটিতে নামিয়ে আনে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া। বার্সার মাঠেও সমান তালে লড়াই করে দলটি। তাতে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
রোববার ক্যাম্প ন্যুতে সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোল ড্র করে বার্সেলোনা। সেভিয়ার হয়ে গোল পেয়েছেন লুক ডি ইয়ং। ফিলিপ কৌতিনহোর পা থেকে আসে বার্সেলোনার গোলটি।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। ১০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের গোল দুটি হয়। অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় সেভিয়া। ছোট কর্নার থেকে সুসোর ক্রস ঠিকভাবে ফেরাতে পারেননি ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় আলগা বল পেয়ে জোরালো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন লুক ডি ইয়ং। তিন ম্যাচে এটাই প্রথম গোল হজম কাতালানদের।
সমতায় ফিরতে দুই মিনিটও সময় নেয়নি বার্সা। আনসু ফাতিকে লক্ষ্য করে দারুণ এক ক্রস দিয়েছিলেন মেসি। তবে তার শট ঠেকাতে গিয়ে ফিলিপ কৌতিনহোর পায়ে বল তুলে দেন হেসুস নাভাস। আর ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এ ব্রাজিলিয়ান। চলতি মৌসুমে এটাই তার প্রথম গোল।
১৯তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। সুসোর বাড়ানো বলে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন নাভাস। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। দুই মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বার্সারও। বুসকেতসের কাছ থেকে বল পেয়ে অনেকটা ফাঁকায় থাকা আতোঁয়ান গ্রিজমানকে পাস দিয়েছিলেন ফাতি। তবে এ ফরাসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩১তম মিনিটে প্রায় বিপদ ডেকে এনেছিলেন জর্দি আলবা। সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে ফাঁকায় থাকা সুসোর পায়ে বল তুলে দেন তিনি। বল নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে যে শট শট নিলেন তা বাইরে জাল কাঁপায়। ১২ মিনিট পর নিজেদের অর্ধ থেকে পাওয়া বলে ডান প্রান্ত দিয়ে কোণাকোণি এক শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৬৩তম মিনিটে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় বার্সা। বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি খেলোয়াড় ইউসুফ এন-নেসিরির ক্রস ঠেকাতে গিয়ে প্রায় বল জালে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরায়ুজো। সৌভাগ্যক্রমে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ইভান রাকিতিচের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৭২তম মিনিটে ভালো সুযোগ নষ্ট করে সেভিয়া। নাভাসের ক্রস থেকে এন- নেসিরির হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। নয় মিনিট পর বদলি খেলোয়াড় পেদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার গড়ানো এক শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক বোনো। পরের মিনিটে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। বুসকেতসের ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এ ডাচ মিডফিল্ডার।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন বদলি খেলোয়াড় ত্রিনকাও। মেসির বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সে সুযোগ হাতছাড়া করলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments