সিরাজগঞ্জে কমেছে বন্যার পানি, কমেনি দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জে টানা চারদিন নদীতে পানি বৃদ্ধির পর রোববার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে, সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে।
স্টার ফাইল ফটো

সিরাজগঞ্জে টানা চারদিন নদীতে পানি বৃদ্ধির পর রোববার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে, সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে।

নদীর পানি প্রবাহ কমলেও বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকা জলাবদ্ধ আছে। ফলে, বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ কমেনি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কে এম রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যমুনার পানি সোমবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ মিটার ১২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৩ মিটার ১০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

রোববার থেকে যমুনার পানি দ্রুত গতিতে কমতে থাকে এবং সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি আরও কয়েকদিন এভাবেই কমবে বলে তিনি জানান।

এর আগে, গত সোমবার থেকে যমুনার পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বৃহস্পতিবার যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে ওঠে। এটি বছরের চতুর্থ দফার বন্যা। উজানের ঢল আর বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ বছর বন্যার ভয়াবহতার কারণে পানি কমা বা বৃদ্ধির ব্যাপারে আগাম ধারণা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে পৌঁছালেও বন্যা কবলিত এলাকার জলাবদ্ধতার এখনই শেষ হচ্ছে না বলে জানায় দুর্গতরা।

সিরাজগঞ্জের বেতিল চরের জাহানারা বেগম জানান, সেই জুন মাস থেকে আমরা পানিবন্ধি হয়ে আছি। কখনো পানি কমছে, আবার কখনো বাড়ছে। তবে, দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না। নতুন করে আর কোনো বন্যা না হলে পুরো এলাকা থেকে পানি নামতে আরও মাস খানেক সময় লাগতে পারে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চতুর্থ দফার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির নতুন কোনো হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে ইউনিয়ন বিভিন্ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।

Comments