নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ভিডিও ফুটেজ সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার আগে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে ভিডিও ফুটেজের কপি সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত এ আদেশের পাশাপাশি একটি রুল জারি করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছন হাইকোর্ট। কমিটিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ডে পুলিশের কোনও গাফিলতি আছে কিনা, তা তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন নোয়াখালীর সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের অধ্যক্ষ। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘটনায় হওয়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওসিসহ বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চেয়ে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট একটি রুলও জারি করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম আর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বেগমগঞ্জ উপজেলার ইউএনও এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আবদুল্লাহ আল মামুন এ ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাইলে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ সব নির্দেশনা ও রুল জারি করেন।
আদেশের আগে আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ইয়াদিয়া জামান, জামিউল হক ফয়সাল, রাশিদা চৌধুরী নীলু ও তানজিম আল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবীর মতামত নেন।
Comments