নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: বাদল ৭ দিন, ইউপি মেম্বার ৩ দিনের রিমান্ডে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ৭ দিন ও ইউপি মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাশফিকুল হক তাদের রিমান্ডে দেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিকেলে আদালতে আসামিদের হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মোস্তাক আহম্মেদ প্রধান আসামি বাদলের ১০ দিন ও ইউপি মেম্বার সোহাগের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত বাদলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় ৪ দিন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে দেন এবং ইউপি মেম্বার সোহাগের ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার ৫ নং আসামি সাজুকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বুধবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। মামলার ৯ আসামির মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাদলকে সোমবার রাতে র্যাব বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। দেলোয়ারকে এখনো তাদের হাতে সোপর্দ করেনি। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জে অস্ত্র আইনে মামলা থাকায় সেখানে রয়েছেন।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা নারী নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন।
Comments