ফ্লাইট বাড়লেও সৌদিগামী সব শ্রমিক নিতে পারছে না বিমান-সৌদিয়া

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে সৌদিগামী অভিবাসীদের ভিড়। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সৌদি আরবে বেশ কিছু এয়ালাইনস ফ্লাইট চালু না করায় সৌদি অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনেকেরই পুনরায় নিজ নিজ কাজে যোগদানের বিষয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিত।

বর্তমানে শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং সৌদি আরবের সৌদিয়া দেশটিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

অন্যান্য এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ছুটিতে দেশে আসা কয়েক হাজার শ্রমিককে হতাশা নিয়ে টিকিটের জন্য রাজধানীর বিমান ও সৌদিয়া অফিস ঘুরতে দেখা যায়। তবে তারা কোনো টিকিট পাননি। কারণ, এয়ারলাইনস দুটি শুধুমাত্র যাদের রিটার্ন টিকিট ছিল তাদের টিকিট পুনরায় ইস্যু করছে।

এয়ারলাইনস খাতের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে বিমান ও সৌদিয়া বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বছরে বার্ষিক প্রায় দেড় লাখ যাত্রী পরিবহন করে এবং বাকি এয়ারলাইনসগুলো পরিবহন করে আরও প্রায় দেড় লাখ যাত্রী।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, বিমান বর্তমানে সপ্তাহে নয়টি এবং সৌদিয়া সপ্তাহে আটটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার ও ইতিহাদ এখনও ঢাকা থেকে ফ্লাইট চালু করতে পারেনি।

তারা আরও জানান, কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার আরাবিয়া এবং ফ্লাই দুবাই সৌদি আরবে ফ্লাইট চালু করলেও কোনো ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করছে না।

গতকাল মঙ্গলবার মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিবাসী কর্মী মীর মুরসালিন জানান, কুয়েত এয়ারওয়েজে সৌদি আরব ফেরার টিকিট কাটা রয়েছে তার।

গত দুই সপ্তাহ ধরে সৌদিয়া এবং বিমানের টিকিট কাটার চেষ্টা করলেও কোনো ফল পাচ্ছেন না তিনি। দুটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারাই তাকে জানিয়েছে যে বর্তমানে তারা সৌদি আরবে কোনো নতুন টিকিট দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমার ইকামার (কাজের অনুমতিপত্র) মেয়াদ ১৩ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি সৌদি আরব পৌঁছাতে না পারি তাহলে চাকরি হারাতে পারি।’

কুমিল্লার অপর অভিবাসী শ্রমিক মোহাম্মদ মাসুমের রয়েছে এয়ার আরবের রিটার্ন টিকিট। তিনি বলেন, ‘আমি খুব সমস্যায় পড়ব। ... আমি যদি দ্রুত সৌদি আরব না যেতে পারি তাহলে চাকরি হারাব।’

সম্প্রতি কুয়েত সফরকালে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন দেশটির কর্তৃপক্ষকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পুনরায় চালু করার আহ্বান জানান। যাতে করে বাংলাদেশি অভিবাসীরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন।

যোগাযোগ করা হলে, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ থেকে এয়ারলাইনস যদি পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়, তাহলে যাচাই করে তা বিবেচনা করা হবে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদিয়া এবং ১ অক্টোবর থেকে বিমান বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Israel will take all of Gaza: PM

Strikes kill 52 more; WHO chief says 2 million 'starving'

4h ago