অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান গ্রামে, বদলেছেন পেশা

করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে সংগীতাঙ্গনে। লকডাউনের শুরুর দিক থেকে এখন নতুন স্বাভাবিকে বন্ধ রয়েছে স্টেজ শো। একেবারে ঘরে বসে রয়েছেন অনেক শিল্পী, মিউজিশিয়ান।
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, দিলশাদ নাহার কণা এবং আসিফ আকবর। ছবি: স্টার

করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে সংগীতাঙ্গনে। লকডাউনের শুরুর দিক থেকে এখন নতুন স্বাভাবিকে বন্ধ রয়েছে স্টেজ শো। একেবারে ঘরে বসে রয়েছেন অনেক শিল্পী, মিউজিশিয়ান।

বর্তমানে নিজের জমানো টাকা খরচ করে জীবনযাপন করছেন এইসব শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা। পড়েছেন অসুবিধায়। এতোটা দীর্ঘ সময় এ এভাবে যাবে কল্পনায় ছিল না কারও। করোনা নিঃস্ব করে দিয়েছে সংগীতাঙ্গনের অনেক মানুষকে। স্টেজ শো বন্ধ থাকায় অনেক মিউজিশিয়ান, শিল্পী চলে গেছেন বাড়িতে। নতুন পেশায় যুক্ত হয়েছেন তারা। তাদের আয়ের বড় মাধ্যম ছিল স্টেজ শো। যারা আছেন অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঢাকায়।

সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এই বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা মহামারির শুরুর দিকে চট্টগ্রামের ২০ জনের মতো মিউজিশিয়ান ঢাকা ছেড়েছেন। এদের অনেকেই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন। তারা সবাই মিলে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ কেউ এই পেশায় ফিরে আসতে অনিচ্ছুক। নতুন পেশায় তারা ভালো আছে বলেই আমাকে জানিয়েছেন। কতদিন এই অবস্থা থাকবে আমার জানা নেই। সবাই সবার পাশে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’

সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভীষণ খারাপ অবস্থায় আছেন মিউজিশিয়ানরা। হানিফ মোহাম্মদ নামের একজন মিউজিশিয়ান আমাকে বলেছেন, রামপুরার দিকে প্রায় ১০০ মিউজিশিয়ান থাকতেন। করোনা মহামারির শুরুর দিকে প্রায় সবাই চলে গেছেন। এখনো অনেকেই ফেরেননি। কেউ কেউ নতুন পেশায় নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন। আগামী কতদিন ঘরে বসে থাকতে হবে তার তো কোনো ঠিক নেই। এমন অনিশ্চিত সময়ের মুখোমুখি হতে হবে কেউ ভাবেনি।’

গত ছয়-সাত মাসে অনেকগুলো উৎসব চলে গেলেও শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা ঘরে বসা। কোনো ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি। করোনার মহামারির শুরুর দিকে সরকারের তরফ থেকে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে কয়েক দফায় কিছু শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব অল্প ছিল বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই করোনা মহামারির আঁধার কবে যাবে কেউ জানে না। জেনেছি, অনেক মিউজিশিয়ান ঢাকা ছেড়েছেন। তাদের অনেকেই স্বস্তিতে নেই। সব মিলিয়ে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা একেবারেই ভালো না। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে, অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Labour Issues: Govt, businesses play down prospects of US trade penalties

The government and business leaders have played down the significance of the diplomatic note from the Bangladesh embassy in Washington DC to the commerce ministry about possible measures like trade penalties and visa restrictions over labour issues.

15h ago