কুতুপালং শিবিরে আজও গোলাগুলি, ঘর থেকে বের হচ্ছেন না রোহিঙ্গারা

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার সন্ত্রাসীদের হাতে চারজন খুন হওয়ার পর আজ সকালে আবার গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গোটা শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিবিরগুলোতে চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন না হলে কেউ নিজেদের ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার সন্ত্রাসীদের হাতে চারজন খুন হওয়ার পর আজ সকালে আবার গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গোটা শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিবিরগুলোতে চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন না হলে কেউ নিজেদের ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

সংঘর্ষের পর থেকে বিবাদমান দলদুটির সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করেছেন। আত্মগোপনে থেকেই তারা পরের হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রোহিঙ্গা শিবিরের চারজন রোহিঙ্গা মাঝি (রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা) দ্য ডেইলি স্টারকে আজ এসব কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুপালং শিবিরের একজন দায়িত্বশীল মাঝি জানান, নিরীহ অনেক রোহিঙ্গা ভয়ে ঘর ছেড়ে ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয় ও শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ক্যাম্পের আশপাশে অবস্থান করছে। কেউ কেউ শিবিরের বাইরে চলে যাচ্ছে নিরাপত্তার জন্য। আজ সকালেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। মূলত কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির-১ এ ঘটনাগুলো ঘটছে।

আজ বিকেল সাড়ে চারটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন। শিবিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক আর্মড পুলিশ, র‍্যাব, আনসার মোতায়েন রয়েছেন। শিবিরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল রাতের হতাহতের ঘটনার পর রোহিঙ্গা দুদল আজ সকালে আবার সংঘর্ষে জড়ান। শিবিরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সনজুর মোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকালকে ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। চার জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গা শিবিরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে গতকাল যে চারজন খুনের শিকার হয় তারা সকলেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলের এক পক্ষের নেতা মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ মাস্টার মুন্নার নিকট আত্মীয়।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago