গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
ঢাকার হিসাবের সঙ্গে না মিললেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভালো করবে বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক অনুমানে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে কোভিড-১৯’র প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল বার্ষিক সভা শুরুর আগে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ অর্থনৈতিক গতিধারার ওপর তৈরি করা রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই অনুমানে সকল দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গেলেও বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানেরটা বাড়বে বলে হিসাব করা হয়েছে। তবে, চলমান অর্থবছরে তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই দেশগুলো সবাই ইউটার্ন দিয়ে শুধু ঘুরে দাঁড়াবে তা নয়, দ্রুততার সঙ্গে দৌড়ানো শুরু করবে, যখন বাংলাদেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকবে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে দুই শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত আগস্টে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে বলা হয়েছে, ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থবছর শুরুর সময়ে তারতম্য থাকলেও অর্থবছর ২০ এ ভারতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। উল্টো কমে যাবে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ (ভারতের অর্থবছর শুরু হয় এপ্রিলে), পাকিস্তানের কমবে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। একইভাবে মালদ্বীপের ১৯ দশমিক ৫, শ্রীলংকার ৬ দশমিক ৭, আফগানিস্তানের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। তবে, ভুটানের ১ দশমিক ৫ আর নেপালের দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে। কোভিড-১৯ যে হঠাৎ বিশ্ব অর্থনীতিকে তছনছ করে দিলো, সব তারই প্রভাব বলে বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে।
এই চরম নেতিবাচক অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, এমন প্রত্যাশার ভিত্তিতে চলমান অর্থবছর ২০২০-২১ এ তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে, ঢাকা গত জুনে দেওয়া এই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রপ্তানি রেমিট্যান্স বাড়ছে। অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।’
‘আশা করছি আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব’, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
অন্যদিকে এই অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, পাকিস্তানের দশমিক ৫ শতাংশ। একইভাবে মালদ্বিপের ৯ দশমিক ৫, শ্রীলংকার ৩ দশমিক ৩, আফগানিস্তানের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
আর ভুটানের ১ দশমিক ৮ ও নেপালের দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে। যাদের প্রবৃদ্ধির অঙ্ক বেশি উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে, সেটা আসলে তুলনার ভিত্তিবছরে জিডিপি কমে যাওয়ার কারণে।
উল্লেখ্য, অর্থবছরের সময়ের কারণে জিডিপি বৃদ্ধির তারতম্য হয়েছে।
Comments