আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় গত মঙ্গলবার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার এই রায়ে সংশোধন এনে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

তিন আসামি হলেন, আলমগীর কবির, তসলিম উদ্দিন মন্টু ও মো. আজম।

জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তিন আসামির মধ্যে একজন আলমগীর কবির ওরয়ে বাইট্ট্যা আলমগীরের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, তার মক্কেল এই মামলার রায় পর্যালোচনা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করবেন।

তিনি বলেন, ‘জরিমানা আদায় না হলে মৃত্যুর পর আসামিরা কীভাবে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।’

কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী জরিমানা আবশ্যক বলেও তিনি যোগ করেন।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ১৯ জুলাই নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যার দায়ে এই তিন আসামিসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

চারজনের মধ্যে নাসির ওরফে গিট্টু নাসির ২০০৫ সালের ২ মার্চ র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হন।

কারাগারে থাকা এই তিন আসামি তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তিনটি পৃথক আপিল করেছিলেন।

প্রায় দুই দশক আগে চট্টগ্রামের জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ মুহুরীর বাসায় ঢুকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে। এই মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এক আসামির আপিল ও দুই আসামির জেল আপিলের ওপর ৬ অক্টোবর রায় দেন আপিল বিভাগ।