'নারীদের সম্মান করুন, সত্যিকারের মানুষ হোন'

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ কিংবা নারী নির্যাতন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই একাধিক সংবাদ উঠে আসছে গণমাধ্যমে। তবে সম্প্রতি নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশ। তাতে সামিল হয়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটাররাও। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস অনেকে আগেই দিয়েছেন। এবার বিসিবির উদ্যোগে আরও একবার সবার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেন টাইগাররা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো নারীই যেন দেশে নিরাপদ নন! শিশু থেকে বৃদ্ধা, কেউই নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত সম্মান। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সত্যিকার মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এছাড়া, ধর্ষকদের বিচারের দাবির পাশাপাশি সহিংসতা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ক্রিকেটারদের ফেসবুক পেজে তা পোস্ট করা হয়। সেখানে মুশফিক বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার, আপনার, আমাদের বোনদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনায় আমি মর্মাহত। নারীদের সম্মান করুন। সত্যিকারের মানুষ হোন।'

মাহমুদউল্লাহ নিজের বার্তায় বলেছেন, 'এখন সময় এসেছে, আসুন সবাই মিলে একতাবদ্ধ হয়ে এই অমানুষগুলোকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করি এবং এদের মুখোশ খুলে দিই।'

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, 'চলুন আমরা নিজেদেরকে মানুষ হিসেবে প্রমাণ করি এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শিখি।'

ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবালও বলেছেন প্রায় একই কথা, 'নিজ নিজ পরিবারের নারী সদস্যদের কথাটা ভাবুন এবং দেশের প্রতিটি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসুন।'

আর সৌম্যের বার্তা, 'নারীকে সম্মান করুন। সত্যিকারের মানুষ হোন।'

এদিকে, ধর্ষকদের শাস্তির দাবি করে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের পাশাপাশি শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিক, সৌম্য ও রুবেলের মতো তারকারা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Malaysia agrees to recruit 'large number' of Bangladeshi workers

Assurance will be given to ensure their wages, safety, and overall welfare, according to ministry officials

49m ago