রেখার জীবনের ত্রিভুজ প্রেমের গল্পই কি ‘সিলসিলা’?
জীবনধারণের তাগিদে খুব অল্প বয়সেই সিনেমায় অভিনয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন রেখা। শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু তার। নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭০ সালে ‘শাওন ভাদো’ ছবিতে। আজ এই রহস্যময়ী অভিনেত্রীর জন্মদিন।
১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেতা জেমিনি গণেশন আর অভিনেত্রী পুষ্পাভাল্লি দম্পতির সন্তান তিনি।
প্রায় ২০০টি মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রেখা। ১৯৮১ সালে ‘উমরাও জান’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১০ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা লাভ করেন। তিনবার জিতেছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
রেখা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘দো আনজানে’, ‘ঘর’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘খুবসুরাত’, ‘সিলসিলা’, ‘বসিরা’, ‘উৎসব’, ‘খুন ভারি মাং’, ‘ইজাজাত’, ‘উমরাওজান’, ‘কামাসূত্র’, ‘জুবায়দা’ ইত্যাদি।
অমিতাভ বচ্চন-রেখা জুটির নাম ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন অগণিত চলচ্চিত্রপ্রেমী। দুজনের মধ্যে ছিল রহস্যময় প্রেম। ১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবিতে তারা প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন এবং কাছাকাছি আসেন। ১৯৮১ সালে ‘সিলসিলা’ মুক্তির পর আর কখনই একসঙ্গে অভিনয় করেননি তারা। ‘সিলসিলা’ ছবির গল্পে অমিতাভ, রেখা আর জয়ার সত্যিকারের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প বানানো হয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন।
রেখার কিছু নিজস্ব বিষয় ছিল। তিনি নিজের শুটগুলোর স্টাইল নিজেই করেন। এমনকি ব্যাকড্রপটা কেমন হবে, সেটাও ঠিক করেন নিজে। শুধু ছবি তোলা নয়, নিজেই ছবি এডিট করেন। শুটিংয়ে নিজের পোশাক নিজেই ইস্ত্রি করেন। কোনো হেয়ার ড্রেসার থাকে না তার, কোনো মেকআপ আর্টিস্টের প্রয়োজন হয় না। মেকআপ ছাড়া কারও সামনে আসেন না এই খ্যাতিমান অভিনেত্রী।
Comments