কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২.৮ লাখ শিক্ষার্থীর গ্রেডিং অনিশ্চয়তায়
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শিক্ষার্থীর ফলাফল কীৃভাবে নতুন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এই শিক্ষার্থীরা এইচএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স কোর্স নিয়ে থাকে। তারা একাদশ শ্রেণির পাঠ সম্পন্ন করার পর চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে থাকে। এই পরীক্ষার ফলাফল এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে যোগ হয়।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অন্তত দুজন কর্মকর্তা জানান, তাদের এইচএসসি ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত পরীক্ষার স্কোর যোগ হয়।
বোর্ডের এক শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছি। এই পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষার নম্বর ছাড়া কীভাবে মূল্যায়ন করব সে বিষয়ে এখনো আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।’
করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এ বছর হবে না। তাদের মূল্যায়ন জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হবে। তবে কারিগরি শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার স্কোর নিয়ে কী করা উচিত সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে যোগ করেন বোর্ড কর্মকর্তা।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
কারিগরি কোর্সের শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন তাদের চিন্তা দূর করতে শিগগির তা ঘোষণা করা উচিত।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন মোল্লা জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা ভালোভাবেই অবগত আছেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেওয়ার বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি আরও জানান, এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া প্রায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নতুন ঘোষিত পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাস করবে।
এসএসসি পরীক্ষার পর যেসব শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এইচএসসির ফলাফলে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফল কত শতাংশ করে যোগ হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
১৯৬৪ সালে প্রবর্তনের পর এই প্রথম এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হলো।
করোনা মহামারির কারণে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি ও সমমান) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি ও সমমান) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
Comments