ফের প্রশ্ন উঠল নারিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে

কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই তারকা স্পিনারের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আম্পায়াররা।
sunil narine
ছবি: টুইটার

বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বহু আগে থেকেই নানা ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সুনীল নারিনকে। প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনের কারণে তার কপালে জুটেছে নিষেধাজ্ঞাও। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নতুন করে আবার জেগেছে সংশয়। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই তারকা স্পিনারের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আম্পায়াররা।

শনিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচের পর দুঃসংবাদ পেয়েছেন নারিন। কলকাতার ২ রানের নাটকীয় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তার বোলিং অ্যাকশন হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই খেলোয়াড়।

আইপিএলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আবুধাবিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে তার দলের ম্যাচের সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড় সুনীল নারিনের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে।’

আইপিএলের নিয়ম অনুসারে, আপাতত সতর্ক করে দেওয়াদের তালিকায় থাকবে নারিনের নাম এবং তিনি বোলিং করে যেতে পারবেন। তবে বিপত্তিটা ঘটবে আরেকবার তার অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলে। সেক্ষেত্রে এই ক্যারিবিয়ান ঘূর্ণি জাদুকরের বোলিংয়ের উপর দেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা। তখন অ্যাকশনের ত্রুটি দূর করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ছাড়পত্র পেলেই ফের বোলিং শুরু করতে পারবেন তিনি।

৩২ বছর বয়সী নারিনের বিরুদ্ধে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্রিকেটে তার অ্যাকশন দুই দফায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ত্রুটি দূর করার জন্য কাজ করতে গিয়ে পরের বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তার।

২০১৫ সালের আইপিএলে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একই বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে। অবৈধ অ্যাকশনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই মাসের শেষ দিকে তার বোলিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় আইসিসি।

পরের বছর এপ্রিলে মুক্তি মেলে নারিনের। কিন্তু ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে যেতে হয়েছিল তাকে। চলতি আইপিএলের আগে সবশেষ ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ জেগেছিল আম্পায়ারদের।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago