নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আদালতে আরও ২ আসামির স্বীকারোক্তি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই দুজন হলেন- মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদল (২২) ও মো. মাইন উদ্দিন সাজু (২১)।
আজ রোববার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার সাত জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘রোববার বিকেলে নারীকে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদল ও ৫ নং আসামী মাইন উদ্দিন সাজুকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম মাসফিকুল হক ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, বেগমগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা দুটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার কার্যক্রম পিবিআইকে হস্তান্তর করেন। পিবিআই শুক্রবার থেকেই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২ অক্টোবর রাতে ওই নারীর বসত ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নোয়াখালীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা পিবিআইতে হস্তান্তর
৩ আসামি নিয়ে পিবিআই’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন
Comments