ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট ‘শিগগিরই’ চালু

প্রায়োগিক বিষয়াবলী চূড়ান্ত হওয়ার পর বিশেষ ‘এয়ার বাবলের’ মাধ্যমে ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট যত দ্রুত সম্ভব চালু করতে চায় বাংলাদেশ ও ভারত।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার ফ্লাইটের সংখ্যা ও অন্যান্য বিষয়াদি চূড়ান্ত করতে কাজ চলমান রয়েছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইন ভিসা আবেদন সেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

বর্তমানে অনুমোদিত ভিসা বিভাগগুলো হলো- চিকিৎসা, ব্যবসায়, চাকরি, এন্ট্রি, সাংবাদিক, কূটনীতিক, কর্মকর্তা, জাতিসংঘের কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের কূটনীতিক।

শিগগিরই ভিসার অন্যান্য বিভাগগুলো ফের চালু করা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে হাইকমিশন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সমান সংখ্যক ফ্লাইটের সঙ্গে বিশেষ এয়ার বাবল ব্যবস্থার মাধ্যমে মহামারি চলাকালে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার সম্ভাবনায় ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে বিশেষত চিকিৎসার জন্য রোগীদের আসা যাওয়া এবং দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ও সড়ক যোগাযোগের বিধিনিষেধ কমানের জন্য আবেদন জানানো হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইসামি বলেছেন, তারা বাংলাদেশ সরকার ও তাদের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে এক বিশেষ এয়ার বাবল ব্যবস্থায় শিগগিরই ফের ফ্লাইট চালু করার জন্য বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঢাকায় এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও লাটভিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ভিসা কনস্যুলার সেবা না থাকায় ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।

ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ করতে নয়াদিল্লিতে ভ্রমণ করতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তি না থাকায় তারা যেতে পারছে না।

আগস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এয়ার বাবল ব্যবস্থা স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ওই প্রস্তাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দু’দেশের মধ্যকার ৬ষ্ঠ জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সভাপতিত্ব করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

15h ago