জেলা ফুটবলে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সালাউদ্দিন
এক যুগ আগেও যে অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের ফুটবল, সেখান থেকে পিছিয়েছে অনেকটাই। রীতিমতো তলানিতে অবস্থান। আর তার অন্যতম প্রধান কারণ তৃণমূল পর্যায়ে মাঠে ফুটবল না থাকা। জেলাগুলোতে লিগ হয় না বললেই চলে। তবে চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর এবার জেলা ফুটবলে ব্যাপক উন্নয়ন করার স্বপ্ন দেখালেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফে নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার নিজেদের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান হলেও এবার জেলাভিত্তিক ফুটবলের দায়িত্বটা তার কাঁধেই। সেখানে ফুটবল লিগ নিয়মিত না হওয়ার কারণ খুঁজে সমাধান দিতেই দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানান তিনি। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলাভিত্তিক ফুটবলকে আমূল পরিবর্তন করার আশ্বাস দিলেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার।
আর কি ধরণের কাজ করবেন তা জানিয়ে বলেন, 'জেলাভিত্তিতে আমি প্রতিটি জেলায় নিশ্চিত করব যেন লিগ হয়, আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করব। তারাও আমার সঙ্গে থাকবে। আমরা একটি শক্তিশালী কমিটি করব। এই কমিটি আর্থিক ও টেকনিক্যাল দিকগুলো দেখাশুনা করবে এবং সম্পূর্ণভাবে প্রতিটি জেলাকে মনিটর করবে।'
সালাউদ্দিনের বিশ্বাস এমনটা নিশ্চিত করতে পারলেও তৃণমূল ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব এবং নিয়মিত ফুটবল থাকবে প্রতিটি জেলায়। তবে এরপরও কোনো কারণে জেলার স্থানীয় ফুটবল কমিটি যদি তাহলে প্রশাসন এর দায়িত্ব নিয়ে লিগ আয়োজন করবে বলে জানান সালাউদ্দিন, 'যদি এরপরও কোনো জেলা লিগ আয়োজন না করতে পারে তাহলে প্রশাসনের এর দায়িত্ব নিবে এবং তারা এ লিগ আয়োজন করবে।'
সালাউদ্দিনের অধীনে জেলার ফুটবলের সূচি কেমন হবে তাও জানালেন বাফুফে সভাপতি, 'জেলায় আমাদের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হবে হোম এবং অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। বঙ্গবন্ধুর নামে হবে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথমে হবে লিগ, এরপর হবে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ। এটা শেষ হলে ধারাবাহিকভাবে হবে অনূর্ধ্ব-২০ শেখ কামাল ফুটবল লিগ। আর শেখ কামাল লিগ শেষ হওয়ার পর হবে শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১২ ফুটবল লিগ। জেলায় জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ সূচি থাকবে।'
আগামী ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে বাৎসরিক সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে জানালেন সালাউদ্দিন। আর ছেলেদের বিভিন্ন আসরের পাশাপাশি মেয়েদেরও তিনটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল লিগও যথা সময়ে আয়োজনের আশ্বাস দেন বাফুফে সভাপতি। প্রতি বছরই লিগ আয়োজনের আগে কমবেশি কিছু ক্লাব দল গোছাতে না পারায় কিংবা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লিগ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। তবে এখন থেকে এ সব কিছু মেনে নেওয়া হবে না বলেই জানান সালাউদ্দিন। ফুটবলের স্বার্থেই এমনটা করছেন বলে জানান তিনি।
'প্রশাসন মানে সালাম মুর্শিদি সাহেব যে তারিখ দেবে ওই তারিখেই খেলা শুরু হবে। যদি কোনো দল খেলতে না চায়, আমাদের যে আলোচনা হয়েছে তাতে যদি ১৩ দলের তিন দল না খেলে সেক্ষেত্রে ১০ দলেই লিগ হবে। যদি সাত দল রাজী হয় তাহলে সাত দলেই খেলা হবে। অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে অনেক বন্ধুত্ব হয়েছে। আর কোনো বন্ধুত্ব নেই। এখন শুধুই ফুটবল।' - বলেন সালাউদ্দিন।
Comments