অনন্ত জলিলের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে যা বললেন শাওন ও বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন ও মেহের আফরোজ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে ধর্ষণের কারণ হিসেবে নারীদের পোশাককেই দায়ী করেন নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। তবে, সমালোচনার মুখে ছয় মিনিটের ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। পরে আবার সম্পাদনা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আরেকটি তিন মিনিটের নতুন ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

প্রথম প্রকাশিত ছয় মিনিটের ভিডিওর এক পর্যায়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘শালীন ড্রেস পরলে যারা বখাটে ছেলে যাদের মাথায় ধর্ষণের চিন্তা-ভাবনা আসে, তারাও এই ধরনের চিন্তা করবে না। শ্রদ্ধার সঙ্গে তোমার দিকে তাকাবে।’

ওই ভিডিও পোস্টের পরে অনন্ত জলিলকে বয়কটের ঘোষণা দেন অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন।

শাওন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘আজ সকাল ১১টার দিকে এই ভিডিও দেখার পর থেকেই আমার ভেতরে অস্বস্তি হতে শুরু করে। সংস্কৃতির একজন মানুষ হয়ে নারীদের নিয়ে এমন কথা কীভাবে বলতে পারেন তিনি। নারীদের পোশাক নিয়ে তো নয়ই। একজন মানুষ নায়ক হিসেবে ভালো না হতেই পারেন। কিন্তু, মানুষ হিসেবে তার ভালো হওয়া জরুরী বলে মনে করি। ভেবেছিলাম বিএফডিসির শিল্পী সমিতি থেকে কোনো প্রতিবাদ আসবে এসব নিয়ে, কিন্ত আসেনি। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। এমন অসংলগ্ন বক্তব্য মানুষ কীভাবে দিতে পারে আমার মাথায় আসে না।’

একই প্রসঙ্গে লাক্স তারকা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘অনন্ত জলিল যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা শুধু কয়েকজন মানুষের ভাবনা নয়। যারা অল্প সংখ্যক মানুষের মনের ভাবনা মনে করবে তারা ভুল করবেন। এমন ভাবনা যারা পোষণ করেন তারাও আমাদের আশেপাশেই আছেন। অনন্ত জলিল তার বক্তব্য এডিট করে আবার ভিডিও আপ করেছেন। কিন্তু, আগের বক্তব্যের জন্য তার মনে কোন অনুশোচনা নেই। আমাদের সমাজে এমন মানসিকতার মানুষের সংখ্যা বেশি। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের দেশের নারীদের এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, নিজেকে ভালো প্রমাণ করার জন্য একজন নারীকে অনেককিছু করতে হয়। একজন নারীকে পোশাক পরা নিয়েও কথা শুনতে হয়। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Simpler rules key to smooth transition from LDC

Leading entrepreneurs yesterday urged the government to create an environment more conducive to doing business as Bangladesh prepares to graduate from the UN’s least developed country (LDC) category next year.

7h ago