মুগ্ধতা ছড়িয়েই যাচ্ছেন রাহুল তেওয়াতিয়া

rahul tewatia
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

এবারের আইপিএল যেন নিজেকে মেলে ধরার নতুন মঞ্চ হয়ে গেছে অলরাউন্ডার রাহুল তেওয়াতিয়ার। একাদশে সুযোগ পাওয়াই যেখানে ছিল কঠিন, সেখানে রাজস্থান রয়্যালসকে দুটি ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে অবিশ্বাস্যভাবে  ম্যাচ জেতান তিনি। এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে রশিদ খানের মতো স্পিনারকে পিটিয়ে নায়ক বনেছেন হরিয়ানার ছেলে।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল বেশ মন্থর। খুব সহজেই বাউন্ডারি বের করা যাচ্ছিল না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ১৫৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ৭৮ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল রাজস্থান।

আরও পড়ুন-  যেভাবে ভিলেন থেকে হিরো তেওয়াতিয়া

ম্যাচ যখন তাদের থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে তখনই দারুণ জুটি বাধেন তরুণ রিয়ান পরাগ আর রাহুল তেওয়াতিয়া। আর বিচ্ছিন্ন হননি তারা। ৮৫ রানের জুটিতে শেষ করেছেন খেলা।

শুরুতে সময় নিয়েছেন। পরে সুযোগ পেলেই হয়েছেন আগ্রাসী। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৫৪ রান। সন্দীপ শর্মার ওই ওভারে ছক্কা-চারের ঝড়ে রাহুল-রিয়ান মিলে নিয়ে নেন ১৮ রান। ১৮তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসেন রশিদ।

আগের তিন ওভারে দারুণভাবে রান আটকে দেওয়া রশিদকে তুলোধুনো করে ছাড়েন রাহুল। টানা তিন বাউন্ডারিতে ওই ওভারেই নিয়ে নেন ১৪ রান। পরের ওভারে নটরঞ্জনকেও চার-ছক্কায় উড়ান তিনি। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৫ রান। তার সঙ্গী রিয়ান ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষে করে অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৪২ রানে।

ম্যাচ শেষে এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার জানান নিজের ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা আর পরিকল্পনা থাকায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি,  ‘আমাকে এই ভূমিকাই দেওয়া আছে দল থেকে। আমি ভাল ব্যাট করছিলাম, আত্মবিশ্বাস ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও ভাল মারতে পারছিলাম। আপনি যখন আপনার ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট থাকবেন, তখন কাজটা সহজ। উইকেট পড়ছিল তাই এক পাশ ধরে রেখে আমি বাউন্ডারির জন্য বাজে বলের অপেক্ষায় ছিলাম।’

দলের বিপর্যয়ে ক্রিজে গিয়েই উইকেটের ভাষা বুঝে নিয়েছিলেন। রিয়ানকে বলেছিলেন এখানে শেষ পর্যন্ত টিকলে ম্যাচ শেষ করা সম্ভব, ‘আমি জানি নিজের উপর ভরসা রাখতে হবে। তাহলেই পারব। আমি রিয়ানকে বলেছিল উইকেট মন্থর, আমাদের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। শেষ ৪ ওভারে যদি ৫০ রানও লাগে আমাদের হাতে শট আছে।’

এই দুজনের নৈপুণ্য অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। প্রথম ম্যাচে নেমে বেন স্টোকস পারেননি, বাকিরাও নিষ্প্রভ ছিলেন, তবু ম্যাচ জেতায় বেশি তৃপ্তি তার,  ‘আমার মনে হয় রাহুল আর তরুণ হিসেবে রিয়ান নিজেকে দেখিয়েছে। স্টোকসি (বেন স্টোকস) আজ পারেনি। উপরের চারজন মারতে পারেনি। কিন্তু আজ আমাদের গভীরতা দেখা গেল। স্টোকসি আসায় আমাদের দলের ভারসাম্য অনেক ভাল হয়েছে।’

 

Comments

The Daily Star  | English
Govt Guarantees To Loans of State Enterprises

Sovereign guarantee rules to be revised

The government plans to amend the existing sovereign guarantee guidelines to streamline the process and mitigate fiscal risks if public entities fail to make repayments on time, according to a finance ministry report.

12h ago