আবার সন্ধ্যা আসে, হ্যাপী আসে না আর
ক্ষণজন্মা সংগীত শিল্পী হ্যাপী আখন্দ প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৭৫ সালে বিটিভিতে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি গেয়ে। এসএম হেদায়েতের কথায় লাকী আখন্দের সুরে গানটির সংগীতায়োজনও করেছিলেন তিনি।
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘হ্যাপীর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিলো। আমার প্রথম ক্যাসেটের চারটা গানের ইম্পোভাইজ কম্পোজিশন করে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালের দিকে গান নিয়ে কাজ করতে এসে লাকী (লাকী আখন্দ) ভাইয়ের বাসায় উঠেছিলাম। হ্যাঁ সঙ্গে একই ফ্লোরে ঘুমাতাম দুজন। এখানে ২০ দিনের মতো থেকে সেই ক্যাসেটের গানগুলোর রেকর্ড করেছিলাম। আমাদের কতো স্মৃতি যে জমা আছে বুকের ভেতর।’
হ্যাপী আখন্দের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া অন্যগান গুলো হলো- ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, ‘খোলা আকাশের মতো তোমাকে হৃদয় দিয়েছি’, ‘নীল নীল শাড়ি পরে’, ‘পাহাড়ি ঝরনা’, ‘এই পৃথিবীর বুকে আসে যায়’, ‘স্বাধীনতা তোমায় নিয়ে গান তো লিখেছি’ ইত্যাদি।
ক্ষণজন্মা এই শিল্পীর সংগীতায়োজনে বাংলা গান পেয়েছিল নতুন এক মাত্রা। সঙ্গীতের সেই বরপুত্রের জন্মদিন আজ। ১৯৬৩ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার পাতলা খান লেনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বড় ভাই বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব লাকী আখন্দ।
গিটার, পিয়ানো, তবলা বাজিয়ে মানুষের মনকে আন্দোলিত করার ক্ষমতা ছিলো হ্যাপী আখন্দের। মাত্র ১০ বছর বয়সে গিটার বাজানো শিখেছিলেন তিনি। তার সংগীত আয়োজনে ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া ‘এমন একটা মা দে না’, ফিরোজ সাঁইয়ের ‘ইশকুল খুইলাছে রে মাওলা’ গানগুলো অন্যতম।
১৯৮৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মাত্র ২৪ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান হ্যাপী আখন্দ।
Comments