বিধ্বংসী রুবেল হোসেন, উজ্জ্বল সুমন খান

তিন ওভার পরই নামল বৃষ্টি। তারপর অনেকক্ষন বন্ধ থাকল খেলা। ম্যাচ নেমে এলো ৪৭ ওভারে। মেঘলা আকাশে এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন রুবেল হোসেন, তাকে সঙ্গত করলেন সুমন খান। তাদের তোপে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে তামিম একাদশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই তামিম। তামিম ইকবাল ফিরে যান বৃষ্টি নামার আগেই। বৃষ্টির পর রোমাঞ্চকর কিছু শট খেলে বাজে শটে হতাশ করেন তানজিদ হাসান তামিমও। তবে তার ২৭ রানই দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
এরপর বাকিটা সময় মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসারদের সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে তামিম একাদশকে। ২৩ ওভারেই ১০৩ রান করে অলআউট হয়ে গেছে তারা। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন সুমন।
শুরু থেকেই দারুণ বল করেছেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসাররা। উইকেট না পেলেও তামিমকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করে পেসারদের ভাল দিনের আভাস দেন ইবাদত হোসেন।
তামিম অবশ্য ফিরেছেন রুবেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। বৃষ্টি থামার পর নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তানজিদ। অন ড্রাইভ আর পুলে মেরেছেন চোখ ধাঁধানো তিন বাউন্ডারি। তবে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেছেন বেশ দৃষ্টিকটু শটে। রুবেলের বলে ফ্লিকের মতন করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে সহজ ক্যাচ দেন মিড উইকেটে।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়ের নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ ছিল। শুরুতে ভুগলেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুমন খানের বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ২৫ রান করে।
সুমনের দারুণ লাফানো বলে ফিরে যান যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপু। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সুমনের অনেক বাইরের বল তাড়া করে দেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আর মাহাদি হাসান মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, পেরে উঠেননি। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দারুণ এক ডেলিভারিতে কাবু হন মাহাদি। সাইফুদ্দিন বোল্ড হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। টেল এন্ডাররাও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিম একাদশ: ২৩ ওভারে ১০৩ (তামিম ২, তানদিজ ২৭, বিজয় ২৫, মিঠুন ০, দিপু ১, মোসাদ্দেক ৫, সাইফুদ্দিন ১২, মেহেদী ১৯, তাইজুল ১, শরিফুল ৪, মোস্তাফিজ ০* ; ইবাদত ০/৩৬, রুবেল ৩/১৬, সুমন ৩১/৩, মেহেদী ২/২, বিপ্লব ২/১৭)
Comments