নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আদালতে আরও ১ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে ৩৫ বছর বয়সী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আবুল কালাম (২২)।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে তার জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে। নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য আবুল কালাম অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে ঐ নারীর বসতঘরে ঢুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর রাতে ঐ নারী বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় আবুল কালাম তিন নম্বর আসামি।
তিনি আরও জানান, কালাম ওই নির্যাতনের সময় উপস্থিত থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কালামকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ৩নং আমলী আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্ত ভার পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সির কাছে হস্তান্তর করেন। গত শুক্রবার থেকে মামলা দুটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে পিবিআই।
পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পিবিআইয়ের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।’
Comments